মাংস সংরক্ষণের যত উপায়

বাজার থেকে যত মাংসই কেনা হোক না কেন, কোরবানির মাংসের স্বাদ যেন একটু আলাদা। অনেকেই চান এই মাংস বছর জুড়ে সংরক্ষণ করে খেতে। আবার একইসঙ্গে দু-তিনটি পশু কোরবানি দেন যারা, তাদের ক্ষেত্রে দ্রুত সংরক্ষণ করার প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি। রান্নার ধরন অনুযায়ীও আলাদা করে সংরক্ষণ করতে পারেন মাংস। 

শুকানো মাংস

রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ
প্রথমেই মাংস কেটে ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। কেননা মাংস খুবই পচনশীল খাবার। সঠিক উপায়ে পরিষ্কার করা না হলে থেকে যেতে পারে জীবাণু। তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী পরিষ্কার পলিথিনের প্যাকেটে নিয়ে রেফ্রিজারেটরে রেখে দিন। আর মাংস কাটার সময়ে আগেই ঠিক করে নিন মাংসটুকু দিয়ে আপনি কি রাঁধবেন। যেমন স্টেক করতে চাইলে আস্ত মাংস রেখে দিতে পারেন। আর কলিজা ছোট ছোট করে কেটে আলাদা করে রাখা ভালো। এবং মনে রাখুন কলিজার অংশ যত দ্রুত সংরক্ষণ করতে হবে।
জ্বাল দিয়ে কিংবা কষিয়ে সংরক্ষণ  
রান্নার জন্যে যে মাংস রাখবেন সেটা আগেই মসলা দিয়ে কষিয়ে নেওয়া ভাল। অনেকের ঘরেই গ্যাস কিংবা রেফ্রিজারেটর থাকে না। সেক্ষেত্রে পরিমাণমত মশলা যেমন, আদা, রসুন, পেঁয়াজ বাটা মেখে অল্প আঁচে রেঁধে রাখতে পারেন একদিন। আর একেবারে রান্না হয়ে গেলে সেই মাংসটাই প্রতিবার অল্প আঁচে গরম করে শুকিয়ে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখুন, এভাবে বারবার গরম করার ফলে মাংস যাতে নরম না হয়ে যায়।
রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ
একটি তারের মধ্যে মাংসের ছোট কিংবা মাঝারি টুকরো গেঁথে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়। তবে এর আগে আপনাকে অবশ্যই সেই মাংসে সামান্য মসলা যেমন লবণ, মরিচের গুঁড়া দিয়ে নিতে হবে। রোদে কয়েকদিন ভালো করে শুকিয়ে নিন যাতে এর ভেতরের পানি একেবারেই শুকিয়ে যায়। ফলে পঁচে যাওয়ারও ভয় থাকে না। আর মাংসের এই শুঁটকি পরিবহণেও বেশ সুবিধা। পরবর্তীতে এই মাংস আপনি রান্নার পাশাপাশি কাঠি কাবাব কিংবা সাধারণ কাবাব হিসেবেও তৈরি করে নিতে পারবেন। 

ছবি: রাবিয়া'স কিচেন