কোরবানির প্রথম মাংস রান্না ও ফ্রোজেন করার পদ্ধতি

কোরবানির পর পরই অনেক মাংস একবারে রান্না করা হয় সব বাসায়ই। তেল-মসলার আধিক্য ছাড়াই এই পদ্ধতিতে মাংস রান্না করতে পারেন। এভাবে টাটকা মাংস রান্নায় স্বাদ আসে চমৎকার। বাড়ির মুরুব্বিরা এই পদ্ধতিতেই রান্না করে থাকেন কোরবানির প্রথম মাংস। যারা রান্না মাংস সংরক্ষণ করতে চান তাদের জন্যও কার্যকর এই রেসিপিটি।

maxresdefault   
উপকরণ
গরু/খাসির মাংস- ২ কেজি (হাড়সহ)
হলুদের গুঁড়া- ১ চা চামচ
মরিচের গুড়া- স্বাদ মতো
ধনিয়ার গুঁড়া- ১ টেবিল চাচম
জিরার গুঁড়া- টেবিল চামচ
রসুন বাটা- দেড় টেবিল চামচ
আদা বাটা- দেড় টেবিল চামচ
তেজপাতা- ২টি
এলাচ- ৫টি
লবঙ্গ- কয়েকটি
দারুচিনি- ৩ টুকরা
আস্ত গোলমরিচ- আধা চা চামচ
লবণ- স্বাদ মতো
সয়াবিন তেল- ৪ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ কুচি- ১ কাপ
আস্ত কাঁচামরিচ- কয়েকটি
প্রস্তুত প্রণালি
মাংসের সঙ্গে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা মেশান হাত দিয়ে। লবণ ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে মেখে নিন। মসলাসহ মাংস চুলায় চাপিয়ে দিন। চুলার আঁচ মিডিয়াম টু হাই হবে। নেড়ে দেবেন যেন নিচে লেগে না যায়। কোরবানির মাংস যেহেতু ফ্রেশ থাকে, সেহেতু খুব বেশি সময় লাগে না সেদ্ধ হতে। মাংস থেকে পানি বের হবে, সেই পানিতেই সেদ্ধ হবে মাংস। চুলার আঁচ মিডিয়াম করে হাঁড়ি ঢেকে দিন। মাঝে মাঝে ঢাকনা তুলে নাড়ুন মাংস। ৪০ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যেই মাংস সেদ্ধ হয়ে যাবে ও তেল উপরে উঠে আসবে। প্রয়োজন না হলে পানি দেওয়ার দরকার নেই। যদি মনে করেন সামান্য পানি দিয়ে আরেকটু ঝোল ঝোল রাখবেন, তাহলে দিতে পারেন। আস্ত কাঁচামরিচ দিয়ে দিন মাংসের হাঁড়িতে। ঢাকনা খোলা অবস্থায় কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। ঝোলে বলক আসলে নামিয়ে ফেলুন চুলা থেকে। ফ্রেশ মাংস খান ভাত কিংবা পোলাও দিয়ে।
যারা ফ্রিজে রেখে খেতে চান তারা এই মাংস সংরক্ষণ করতে পারবেন সহজেই। এজন্য মাংস পুরোপুরি ঠাণ্ডা হলে ছোট বাটি কিংবা জিপলক ব্যাগে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। দুই থেকে আড়াই মাস পর্যন্ত এভাবে রেখে খেতে পারবেন মাংস।  

রেসিপি ও ছবি: কুকিং স্টুডিও বাই উম্মি