যতনে থাকুক মা

একজন নতুন মায়ের শারীরিক এবং মানসিক যত্নের ব্যাপারে আমরা কতোটুকু সচেতন? হবু মায়ের পাশাপাশি সদ্য সন্তান জন্ম দেওয়া একজন মায়ের চাই পরিপূর্ণ যত্ন। আবার ছেলেমেয়ে বড় হয়ে যাওয়া একজন বয়স্ক মাও কিন্তু ভোগেন নানা ধরনের জটিলতায়। সময় স্বল্পতায় তার প্রতি হয়তো সঠিক যত্নটাই নেওয়া হয়ে ওঠে না।

ছবি: বিশ্বরঙ
ডা. লায়লা বিনতে হোসেইন আঁখি বলেন, ‘মায়েরা সবচেয়ে বেশি অবহেলা করেন নিজেদের প্রতি। একদম দেয়ালে পিঠ না ঠেকে যাওয়া পর্যন্ত তারা ডাক্তারের কাছে যেতে চান না। কিন্তু একজন মায়ের রেগুলার চেকআপে থাকা খুব জরুরি। ডায়বেটিস, ব্লাড সুগার, কলস্টেরোল, লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করা প্রয়োজন প্রতি তিন মাস পর পর।’
একজন নতুন মায়ের জীবনে হুট করে চলে আসে বিভিন্ন পরিবর্তন। হঠাৎ করেই একটি বড় দায়িত্ব কাঁধে চলে আসে, যেটাতে সে অভ্যস্ত না। তাই খুব অল্পতেই সে অস্থির হয়ে উঠতে পারে। পোস্টপেট্রাম ডিপ্রেশন নামের এই মানসিক অবস্থার যত্ন না করলে নতুন মায়েদের জন্য তা ঘাতক হতে পারে। সবার সহযোগিতাই পারে সদ্য সন্তান জন্ম দেওয়া একজন মায়ের হতাশা কাটাতে।  
পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর নানা রকম শারীরিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যান একজন মা। দেখা যায় সে খুবই খিটখিটে মেজাজের হয়ে যাচ্ছে। অথবা কথায় কথায় আবেগী হয়ে পড়ছে। এই সময় সন্তান বা পরিবারের সবার সাথেই এক ধরনের দূরত্ব তৈরি হতে পারে মায়েদের। এসময় তার প্রতি খানিকটা বাড়তি যত্ন চাই।
নিউট্রিশন কনসালটেন্ট জয়তী মুখার্জি বলেন, মায়েদের ক্যালোরির চাহিদা তুলনামূলক কম থাকলেও বিশেষ কিছু ভিটামিন ও মিনারেলস এর চাহিদা বেশি থাকে। যেমন ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন ডি। ঋতুকালীন সময়ে,গর্ভাবস্থায় ও পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার পর এই সব ভিটামিন ও মিনারেলস এর অভাবে মায়েরা রক্তস্বল্পতা, অস্টিওপোরোসিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভোগে এবং সন্তানসম্ভবা মায়েরা অপরিপক্ক শিশুর জন্ম দেওয়া থেকে শুরু করে মৃত্যু ঝুঁকির ও সম্মুখীন হতে পারে। `
কেবল একদিনের জন্য নয়, সারা বছরই যতনে থাকুক আমাদের সব বয়সী মায়েরা।