সজনে পাতায় মিলবে ৮ অ্যামাইনো অ্যাসিড

সজনে অতি গুণে ভরপুর একটি ঔষধি সবজি। দেশি-বিদেশি পুষ্টিবিজ্ঞানীরা সজনেকে অত্যাশ্চর্য বা অলৌকিক বলে অভিহিত করেছেন। কারণ এর পাতায় আট রকমের অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিডসহ ৩৮ শতাংশ আমিষ আছে যা অন্য কোনও উদ্ভিদে নেই। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সবজির চাইতে পাতা বেশি উপকারী সজনের। কোনও কোনও দেশে এই গাছকে মায়েদের উত্তম বন্ধু এবং পুষ্টির এক অনন্য সহজলভ্য উৎস হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

4-5ced596c5fb87
বিজ্ঞানীরা মনে করেন সজনে পাতার পুষ্টিগুণের আধার। পরিমাণের ভিত্তিতে তুলনা করলে একই ওজনের সজনের পাতায় কমলার সাত গুণ ভিটামিন সি, দুধের চার গুণ ক্যালসিয়াম এবং দুইগুণ আমিষ, গাজরের চারগুণ ভিটামিন এ, কলার তিন গুণ পটাশিয়াম বিদ্যমান। গবেষণায় দেখা গেছে সজনে পাতায় আমিষ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি থাকে যা দেহের আবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদানের মধ্যে অন্যতম।

১ টেবিল চামচ শুকনা সজনে পাতার গুঁড়া ২ বছর বয়সী শিশুর জন্য প্রায় সব উপাদানই সরবরাহ করে। দৈনিক ৬  চা চামচ সজনে পাতার গুঁড়া গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়ের চাহিদার সবটুকু ক্যালসিয়াম ও আয়রন সরবরাহ করতে সক্ষম। সজনেকে তাই পুষ্টি ডিনামাইট বলে আখ্যায়িত করা হয়।

সারা বছরই ফলে উপকারী সজনে। সজনে পাতার মতো সজনে থেকেও আমরা প্রতিটি উপাদান পেয়ে থাকি। সজনের শুকানো বীজ থেকে তেল তৈরি করা হয় যা অন্যান্য ভোজ্যতেলের তুলনায় অনেক বেশি পুষ্টি সমৃদ্ধ।

সারা বছর সজনে খেতে পারলে আমাদের পুষ্টি চাহিদার অনেক অংশই আমরা পূরণ করতে পারবো।

লেখক: পুষ্টিবিদ