স্বাস্থ্যকর্মী এবং সাংবাদিকদের জন্য সারা দিচ্ছে ৫০ হাজার পিপিই

PPE Making timeবাংলাদেশের রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত স্নোটেক্স গ্রুপের লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’ ৫০ হাজার পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম) তৈরি করছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংকটময় এই পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থায় পিপিই প্রস্তুতের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে স্নোটেক্স গ্রুপ। প্রাথমিকভাবে ১৭ হাজার পিপিই বিজিএমইএ, এম অ্যান্ড এস এবং বুয়েটের সহায়তায় বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে স্বাস্থ্যকর্মী এবং সাংবাদিকদের মাঝে।

আগামী ২ এপ্রিলের মধ্যেই স্নোটেক্স এই ৫০ হাজার পিপিই তৈরি করবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আজ শনিবার প্রস্তুতকৃত ৫০০ পিপিই সরাসরি চিকিৎসকদের কাছে সরবরাহ করা হবে তাদের মতামত সংগ্রহের জন্য। পরবর্তীকালে এই মতামতের প্রেক্ষিতে পিপিই’র প্যাটার্ন পরিবর্তন বা সংযোজন করা হতে পারে।

এছাড়াও, পিপিই বিক্রয়ের ক্ষেত্রে, সম্পূর্ণরূপে অলাভজনক হিসাবে কাজ করবে ‘স্নোটেক্স’।

বিশ্ব তথা দেশের এই সংকটময় মুহুর্তে ‘স্নোটেক্স’ থেকে সরবরাহকৃত এই পিপিই সম্পূর্ণ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারড। পিপিইটি ১০০ ভাগ পলিস্টার টাফেটা এর উপরে পিইউ কোটিং এর ফেব্রিক দিয়ে আপাতত জরুরিভাবে প্রস্তুত করছে ‘স্নোটেক্স’। এছাড়াও পিপিইটি তৈরিতে কাপড়ের টেস্টিং পেরিমিটার- ৩০ সেকেন্ড ৩ পিএসআই চাপে, সেলাইয়ের পরে শতভাগ সিমসিলিং টেপ ব্যবহার করা হবে। ইতোমধ্যেই ডিজি হেলথ থেকে বুয়েট এই পিপিই এর জন্য অনুমোদন নিয়েছে। সেই ডিজাইন অনুযায়ীই কাজ করছে স্নোটেক্স কোম্পানি।

প্রস্তুতকৃত এই পিপিইটি শতভাগ প্রফেশনাল পিপিই না হলেও সংকটময় এই মুহুর্তে জীবন রক্ষার্থে অনেকাংশেই সাহায্য করবে।

PPE (1)উল্লেখ্য, ‘সুখি হও এবং সুখি করো’ প্রত্যয়ে এগিয়ে চলা ‘স্নোটেক্স’ ২০০০ সালে বায়িং হাউজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। ২০০৫ সালে নিজেদের প্রথম কারখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে স্নোটেক্স অ্যাপারেলস। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’ এবং ২০১৪ সালে ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার’এবং ২০১৯ সালে ‘স্নোটেক্স স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করা হয়।

এছাড়াও বাংলাদেশের মার্কেটে ‘সারা’ তাদের প্রথম লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড। স্নোটেক্স আউটারওয়্যার গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে ইউএসজিবিসির লিড গোল্ড সার্টিফিকেটে। প্রতিষ্ঠানটিতে ১১ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে।