যেসব কারণে মাঝরাতে খাবেন না

অনেকেই আমরা রাত জেগে মুভি বা সিরিজ দেখি অথবা লেখালেখি বা অফিসের কাজ করি। ঐ সময় ক্ষুধাও পায় প্রচুর। আর তাই মাঝরাতে জাংক ফুডসহ বিভিন্ন খাবার খাওয়া হয়ে যায় প্রায়ই। দিনজুড়ে হয়তো ব্যায়াম, রুটিন মেনে কম কার্বোহাইড্রেট খাবার খাওয়া চলছে, কিন্তু রাতে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছে স্বাস্থ্যসচেতনদের রুটিন। এই বদভ্যাস কেন দূর করা জরুরি জেনে নিন।

600 রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ৩ ঘন্টা আগে খাবার সেরে নেওয়া উচিত বলেই জানান পুষ্টিবিদরা। কারণ এতে করে পাকস্থলীতে হজম প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তাতে ঘুম ভালো হয়। কিন্তু মাঝরাতে খাবার খেয়ে দ্রুত ঘুমাতে যাওয়া আপনার জন্য ক্ষতিরই কারণ হবে। তখন পাকস্থলী ঠিক মতো কাজ করতে পারবে না। আপনি জেগে থাকবেন প্রায় পুরো রাত। এছাড়া নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে রাত ১১ টার পর খাবার খেলে রক্তে গ্লুকোজ, ইনসুলিন ও কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই মাঝরাতে খাওয়ার বদভ্যাস পরিহার করুন। মাঝরাতে খেলে যেসব ক্ষতির মুখে পড়বেন আপনি-
ঘুমের ব্যাঘাত: রাত জেগে যারা খায়, তাদের ঘুমাতেও দেরি হয়। এতে করে স্লিপ সার্কেল অর্থাৎ ঘুম চক্রের ব্যাঘাত হয়। ফলে শরীর যেমন অসুস্থ হয়ে যায়, তেমনি উদ্ভট সব স্বপ্ন দেখার প্রবণতাও বাড়ে।
হজমে সমস্যা: বেশি রাতে খাবার খেলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। ঐ সময় খাবার সহজে হজম হতে পারে না বলে পাকস্থলীতে অতি মাত্রায় অ্যাসিড নিঃসরণ হয়।
ওজন বেড়ে যায়: রাতে শরীরের বিপাক প্রক্রিয়া ধীর গতিতে কাজ করে। দিনের বেলায় খাবার  খাওয়ার পর যত সহজে ক্যালোরি খরচ হয়, রাতে তা হয় না। সে কারণে বেশি রাতে খাবার খেলে ওজন বেড়ে যায়।
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর: বেশি রাতে খাবার খেয়ে ঘুমাতে না পারার কারণে সকালে বিছানা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করবে না আপনার। এ সময় মেজাজ খিঁচড়ে থাকে। এতে করে মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। এই বদভ্যাস চলতে থাকলে একটা পর্যায়ে হতাশা-বিষণ্ণতা গ্রাস করতে পারে আপনাকে।
অসুখ বাড়িয়ে দেয়: বেশি রাতে খাওয়া ও বেশি রাতে ঘুমানোর কারণে আপনার হাইপার টেনশন ও ডায়বেটিসসহ বিভিন্ন অসুখ হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।
জেনে নিন

  •  রাতে কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে করে ব্লাড সুগার লেভেল ঠিক থাকবে।
  • মাঝরাতে ভারী খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। যদি খুব বেশি ক্ষুধা লাগে, তাহলে আঁশ সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন, এতে ভরপেট খাওয়া হবে না। আর তা সহজে হজম হয়ে ঘুম ভালো হবে।

তথ্যসূত্র: টাইমস অইন্ডিয়া