স্বাস্থ্যরক্ষায় অ্যালোভেরা

আলোভেরা

প্রাচীনকালে ঘৃতকুমারীর পাতা ছেঁচে তার রস দিয়ে সৌন্দর্যবর্ধন করতেন রাজা-রাণী। মিসরীয় লোককাহিনী থেকে জানা যায়, প্রতিদিনের স্নানে ভেষজ এ উদ্ভিদের স্নিগ্ধ ছোঁয়া ছাড়া চলতই না অভিজাত নারীদের। রূপচর্চার পাশাপাশি স্বাস্থ্যরক্ষায়ও অ্যালোভেরার জুড়ি মেলা ভার। বিশটি অ্যামিনো অ্যাসিড ও নানান ধরনের ভিটামিন রয়েছে অ্যালোভেরা জেলে। অ্যালোভেরা গাছ থেকে জেল সংগ্রহ করে টিউবে ভরে অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। এখন অবশ্য গাছের পাতা ছেঁচে নেওয়া কিংবা সরাসরি জেল সংগ্রহ করার প্রয়োজন নেই তেমন।  সুদৃশ্য বোতল বা প্যাকেটেই পাওয়া যায় অ্যালোভেরার সবটুকু গুণাগুণ। জেনে নিন সুস্থ থাকতে কীভাবে সাহায্য করে ভেষজ এ উদ্ভিদ- 

  • অ্যালোভেরার ঔষধি গুণ রক্তচাপ কমায় এবং রক্তে কোলেস্টেরল ও চিনির মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সাহায্য করে।
  • অ্যালোভেরায় মিনারেল, অ্যামিনো অ্যাসিডসহ নানা পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। যা হাড় ও মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে।
  • দেহে ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করলে তা অপসারণ করতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা।
  • অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক ঔষধির কাজ করে। বিভিন্ন চর্মরোগ ও ক্ষত সারায় এটি। অনেক সময় প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় অ্যালোভেরা।
  • অ্যালোভেরার জুস ক্লান্তি দূর করে দেহকে সতেজ করে।
  • নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করলে হজম শক্তি বাড়ে। পরিপাক তন্ত্রের নানা জটিলতা সারাতেও সাহায্য করে অ্যালোভেরা।    
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় অ্যালোভেরা। এটি দেহে সাদা ব্লাড সেল গঠন করে যা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে।
  • সুষম খাদ্যের পাশাপাশি নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।


অ্যালোভেরার জুস

জেনে নিন  

অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ ক্যাপসুল ও ট্যাবলেট হিসেবে পাওয়া যায়। একেবারে তাজা অ্যালোভেরা হাতের কাছে পেতে চাইলে বাসার ছাদে বা বারান্দায় টবে লাগিয়ে দিন ঘৃতকুমারী গাছ। তবে অ্যালোভেরা ব্যবহারে অনেকের ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। তাই ব্যবহারের আগে জেনে নিন আপনার অ্যালোভেরাতে অ্যালার্জি আছে কিনা। অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালোভেরার জুস পান করাও উচিত নয়। এতে উল্টো ফল হতে পারে। রাস্তার ধারে খোলা অবস্থায় অ্যালোভেরার জুস বিক্রি হয়। এগুলো অস্বাস্থ্যকর। তাই এড়িয়ে চললেই ভালো করবেন।

 

/এনএ/