বয়স ৬০ পেরোলেই নাচুন, দেখুন না কী হয়!

নাচুনে বুড়ি বলে একটা কথা আছে। মানে হলো বুড়িয়ে গেলে মনের দিক দিয়ে চটপটে। এই নাচ আর বুড়ো বয়সের সঙ্গে সম্পর্কটা এতদিনে পাকাপোক্ত করলেন বিজ্ঞানীরা। জানালেন, বয়স ৬০ পেরোনোর পর যত বেশি নাচের ওপর থাকবেন, ততই ধারালো হবে ব্রেইন। চট করে এটা ওটা ভুলে যাওয়ার রোগটাও থাকবে না।

নাচ ও মস্তিষ্ক
নাচ মানে ছন্দ। আর ছন্দের নিয়ন্ত্রণ রাখে মগজ। সুতরাং নাচ মানে শুধু শারীরিক ব্যায়াম নয়, মগজেরও ঘাম ছোটে। মূলত এ কারণেই বুড়ো বয়সে নাচার পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাটগার্স ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। নিউরোবায়োলজি অব লার্নিং অ্যান্ড মেমোরি জার্নালে তারা জানিয়েছেন, সপ্তাহে অন্তত চার-পাঁচ দিন অ্যারোবিক নাচের ফলে মস্তিষ্কের স্মৃতির অংশটুকু জোরদার হবে। কোনও কিছু মনে রাখার যে নিউরাল নেটওয়ার্ক দরকার হয়, সেটাও তৈরি হবে নতুন করে।

যেভাবে হলো গবেষণা
৬০ বছরের বেশি বয়সী একদল স্বেচ্ছাসেবক নিয়েছিলেন গবেষকরা। ভাগ করলেন দু’ভাবে। এক দলকে বলে দিলেন স্বাভাবিক দিনযাপন করতে। আরেক দলকে নাচিয়ে ছাড়লেন সপ্তাহে পাঁচ দিন করে। টানা ২০ সপ্তাহ হলো এক্সপেরিমেন্ট। এরপরই তাক লাগানো ফলাফল। যে বুড়ো-বুড়িরা নিয়মিত অ্যারোবিক ড্যান্স ক্লাস করেছে মস্তিষ্ক স্ক্যান করে দেখা গেল তাদের মিডিয়াল টেমপোরাল লোব অংশ বেশ ঝরঝরে। টুকটাক জিনিস মনে রাখার পরীক্ষায় পাস তো করেছেনই, জটিল সব সমস্যার সমাধানও করতে পেরেছেন দ্রুত।

নাচবেন কী করে?
ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। শরীরের ভাষা বুঝে তাল মেলাতে বলেছেন গবেষকরা। ইউটিউবে দেখে নিতে পারেন সহজ কিছু অ্যারোবিক ড্যান্স। প্রতিবারে ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা করে সপ্তাহে পাঁচ দিন নাচলে ফল পাওয়া যাবে ভালো। তবে সবার আগে দেখতে হবে নাচের সঙ্গে শরীরটা সায় দিচ্ছে কিনা।