আসবাবের যত্নআত্তি

যতনে থাকুক কাঠের আসবাব

আপনার বাসায় অবশ্যই আসবাব রয়েছে। আর চলছে তার যা ইচ্ছা তাই ব্যবহার। কেউ পানি ফেলছে, কেউ ময়লা কাপড় রাখছে। বুকশেলফে ধুলো জমছে। সব মিলিয়ে ভীষণ আগোছালো অবস্থা। নিজের যত্ন নিচ্ছেন। প্রতিদিন  ঘর মোছা হচ্ছে একবার করে। কিন্তু তেমন করে কি আসবাবের যত্ন হচ্ছে?

চাই আসবাবের যত্ন। যত্নে থাকুক আপনার আসবাব। তাই বাংলা ট্রিবিউন আপনাকে দিচ্ছে আসবাব যত্নে রাখার কয়েকটি পরামর্শ।

আর্দ্রতা পরিহার

স্বাভাবিকভাবে ঘরের আর্দ্রভাব কাঠের আসবাবপত্রের শত্রু। এই বিষয়টি বেশি চোখে পড়বে বর্ষাকালে। বৃষ্টিতে ,ঠান্ডায় ঘরে এক ধরণের স্যাতঁস্যাতে ভাব তৈরি হয়। যা কাঠের আসবাবের জন্য মোটেও ভালো কিছু রাখে না। এটি আসবাবের জন্য ক্ষতিকর। অনেক সময় চিড় ধরে, সময় মুচড়ে যায়। তাই অবশ্যই শুকনো জায়গায় আসবাব রাখতে হবে ।আসবাবের আশেপাশে পানি বা তরল জাতীয় কিছু পড়লে সঙ্গে সঙ্গে মুছে শুকনো রাখতে হবে।

দাগহীন রাখা

খাবার টেবিল যখন কাঠের হয় তখন ইচ্ছা অনিচ্ছায় পানির দাগ পড়ে যায়।  দাগ তুলতে ব্যবহার করুন মেয়োনেজ।  অল্প মেয়োনেজ পাতলা কাপড়ে লাগিয়ে সেটা দিয়ে দাগের উপর ঘষা দিলেই দাগ উঠে যাবে। আবার নন জেল টুথপেষ্ট থাকলে সেটি দিয়েও দাগ তোলা সম্ভব।

ধূলাবালি মুক্ত রাখা

কাঠের আসবাব পত্রের চমক ধরে রাখতে হলে অবশ্যই ধূলাবালি জমতে দেয়া যাবে না। দরজা-জানালা দিয়ে যে ধূলা বালি প্রবেশ করে তা আসবাবপত্রে এক ধরণের বালির আস্তরণ তৈরি করে। যা দীর্ঘসময় পড়ে থাকলে পলিশকে নষ্ট করার পাশাপাশি আঁচড় ফেলতে দেরি করে না। তাই ধুলাবালি জমতে দেখলেই সাথে সাথে পাতলা, নরম কাপড় বা তুলা দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। চাইলে কুসুম গরম পানিতে কাপড় চুবিয়ে ভালো ভাবে নিংড়ে নিয়ে সেটি দিয়ে মুছে পরিষ্কার করা যাবে। তবে কোনওভাবে পানি ঢেলে পরিষ্কার করা উচিত না। খসখসে কাপড় ব্যবহার করা যাবে না। এতে হিতে বিপরীত হবে।

চকচকে রাখা

উপরোক্ত বিষয় গুলোর মেনে চলার পাশাপাশি বছরে দুই বার পলিশ করতে হবে। বিশেষ করে মোম পলিশ। এতে টেকসইয়ের মাত্রা দীর্ঘ হবে। আসবাবের চকচকে ভাব ঘরের চমক ধরে রাখবে।

/এফএএন/