অন্য রকম বৈশাখের আরও একটি বছর

গত বছরও ছিল এমনই একটি বৈশাখ। হয়নি রমনা বটমূলে গিয়ে পান্তা-ইলিশের সঙ্গে বর্ষবরণ কিংবা মঙ্গল শোভাযাত্রা। লালা পেড়ে সাদা শাড়িতে সেজে ঘোরা হয়নি শহর। বছর ঘুরে আবারও বৈশাখ এলেও অবস্থার বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। চাপা আতঙ্ক নিয়ে কাটাতে হচ্ছে এবারের বৈশাখও।

বৈশ্বিক মহামারির ছোবলে বিপর্যস্ত জনজীবনে নতুন করেই যেন আবার জেঁকে বসেছে করোনার ভয়। শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। বাড়ছে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা এসেছে সরকার থেকে। কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে মহামারি নিয়ন্ত্রণে। পরিবার-পরিজন নিয়ে সুস্থ থাকতে চাইলে তাই থাকতে হবে ঘরেই।

রোজায় বৈশাখ
নতুন বছরের প্রথম দিন শুরু হচ্ছে রোজা। তাই বলে নববর্ষের আয়োজন থাকবে না, এমনটা নিশ্চয় নয়! ইফতার আয়োজনে রাখতে পারেন নতুন বছরের জন্য বিশেষ কিছু খাবার যেমন মুড়ি, মুড়কি, খই বা বাতাসা। রাতের খাবারে চলতে পারে ইলিশের দুই-এক পদ বা কয়েক ধরনের ভর্তা।

বৈশাখের আনন্দ হোক নিজের মতো
ঘরের সাজে রাখতে পারেন বৈশাখের আবহ। একটি বড় মাটির পাত্রে পানি নিয়ে বারান্দা থেকে ফুল এনে পাপড়ি ছিটিয়ে দিন। তুলে রাখা মোমবাতি ভাসিয়ে দিতে পারেন এই পানিতে। বন্ধুদের সঙ্গে ভিডিও কলে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারেন সময় করে।

সচেতনতা চাই, আতঙ্ক নয়
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা চাই পুরোপুরি। অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে পণ্য বুঝে নেওয়ার পর হাত সাবান দিয়ে ধোয়া, মাস্ক পরে তারপর ডেলিভারি গ্রহণ করা, পণ্য জীবাণুমুক্ত করা ইত্যাদি জরুরি। খুব প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। দিনের পর দিন গৃহবন্দি থাকার অবসাদ ও করোনা আতঙ্ক যেন আপনাকে ও পরিবারের অন্যদের মানসিকভাবে অসুস্থ করে না ফেলে, সেদিকে লক্ষ রাখাটাও কিন্তু আপনার দায়িত্ব। ঠিকঠাক সচেতনতা নিয়ে শুরু হোক নতুন বছরটি। আর সঙ্গে থাকুক আশা ও কঠিন দিন পার হয়ে যাওয়ার প্রার্থনা।    

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন