কাপড় গোছানোর নিয়ম!

গোছানো কাপড়

সবকিছুরই আলাদা আলাদা নিয়ম আছে। তাই বলে কাপড় গোছানোর নিয়ম আছে এমন শুনে ভিরমি খাবেন না কিন্তু। প্রয়োজনে হাতের কাছে সব পোশাক পাওয়ার জন্য আপনাকে একটু গুছিয়ে রাখতে হবে জামা-কাপড়। বিশেষ করে ময়লা, অপ্রয়োজনীয়, কোঁচকানো পোশাকগুলো একত্রে গাদাগাদি করে থাকলে তা কাজের সময় আপনার জন্য যথেষ্ট ঝামেলা বয়ে আনবে।

আপনার পোশাকগুলো রাখার জন্য একটি নির্দিষ্ট রুম ব্যবহার করুন। রুমে রাখতে পারেন ওয়্যারড্রব, আলমারি, সেলফ প্রভৃতি।

প্রথমেই বাছাই করতে হবে পোশাকটি আপনার রুমে থাকবে কি না? এরপর রুমে রাখার উপযুক্ত পোশাকগুলো নিচের কোন ক্যাটাগরিতে পড়বে তা ঠিক করুন।

নিয়মিত ব্যবহার্য পোশাক।

ভিন্ন ঋতুর পোশাক (গরমের দিনে শীত কিংবা শীতের দিনে গরমের পোশাক)

ব্যবহার করা উপযুক্ত পোশাক যেগুলো আপনি বছরে দু-এক মাসও ব্যবহার করেন না।

ছেঁড়া, দাগ লাগা, রং নষ্ট হয়ে যাওয়া অথবা অন্য কোনোভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়া পোশাক যেটা ব্যবহারের অনুপযুক্ত। এই কাপড়গুলো আপনি ঘর মোছা, টেবিল মোছা, চুলা পরিস্কার, আসবাবের ধুলো ঝাড়ার মতো কাজে ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার ওয়ারড্রবে না থাকলেও চলবে। এগুলো স্টোর, কিচেন কেবিনেটের মতো স্থানে গুছিয়ে রাখুন।  

ভিন্ন ঋতুর পোশাকগুলো সরিয়ে রাখুন কোনও বক্সে।বা মোটা জিপার লাগানো ব্যাগে রাখতে পারেন। বর্ষাকালের বর্ষাতি, শীতের জ্যাকেট, পুলওভার এগুলো থাকবে একসঙ্গে ব্যাগে।  বাক্স বা ব্যাগগুলোর গায়ে কী ধরনের কাপড় আছে তা লিখে রাখুন।

অপ্রয়োজনীয় পোশাকগুলো এভাবে সরিয়ে দেওয়ার পর দরকারি কাপড়গুলো সহজেই গুছিয়ে নিতে পারবেন।

হ্যাঙ্গারে ঝুলান শাড়ি, শার্ট, প্রয়োজনে প্যান্টও। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শক্ত প্লাস্টিক বা কাঠের হ্যাঙ্গার ব্যবহার করুন।

নির্দিষ্ট পোশাকগুলো সাজিয়ে রাখুন রং এবং ডিজাইন অনুযায়ী। ফরমাল বা জিন্স প্যান্ট একসঙ্গে রেখেই ভাগ করে রাখুন রং অনুসারে। ড্রয়ারে গুছিয়ে রাখুন টাই, বেল্ট, টুপি।

সপ্তাহে কাপড় ধোয়ার পর সেগুলো পুনরায় নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দিন।এভাবে পোশাক গোছাতে একটু সময় লাগলেও আপনার ব্যস্ত জীবনকে অনেক সহজ ও ঝামেলামুক্ত করবে। এতে ঘরে সৌন্দর্যও বাড়বে। আর এলোমেলো পোশাক নিয়ে অতিথির সামনে বিব্রত হতেও হবে না। তাই দেরি না করে নিজের পোশাক গুছিয়ে ফেলুন।

/এফএএন /