সৌন্দর্যসেবা খাতে ভ্যাট কমানোর দাবি বিএসওএবি’র

সৌন্দর্যসেবা সংগঠন ‘বিউটি সার্ভিস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএসওএবি)’-এর আয়োজনে গতকাল ২৪ মার্চ (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘মিট দ্য প্রেস।’ আয়োজনে মূল বক্তব্য রাখেন বিএসওএবি সভাপতি কানিজ আলমাস খান। সংগঠনটির পক্ষে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও দাবি উপস্থাপন করেন তিনি।

 

বক্তব্য রাখছেন কানিজ আলমাস খান

কানিজ আলমাস খান বলেন, ‘২০২০ সালে শিল্প মন্ত্রণালয় সৌন্দর্যসেবা খাতকে শিল্প খাতের মর্যাদা দিয়েছে। এই খাত পরিচালনায় নিয়োজিত উদ্যোক্তাদের ৯৯ শতাংশই নারী। নারীদের কাজে লাগিয়ে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি তাদের জীবনমানের উন্নতিতে অবদান রাখছে সৌন্দর্যসেবা শিল্প। কিন্তু বিদ্যমান প্রতিকূল ভ্যাট ব্যবস্থা ও করোনার কারণে এ খাতে নাজুক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।’

 

তিনি বলেন, ‘সৌন্দর্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রসারিত ফ্লোর ভাড়া নিয়ে সেবা কাজ পরিচালনা করতে হয়। এগুলোর জন্য বিপুল পরিমাণ ভাড়া পরিশোধ করতে হয়। তাছাড়া ভাড়া বাড়ির কারণে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ইন্টারনেট ইত্যাদি খাতেও ভ্যাট পরিশোধ করতে হচ্ছে। একইভাবে বিভিন্ন জোগানদারের কাছ থেকে উপকরণ ক্রয়ের বিপরীতে পার্লার প্রতিষ্ঠানকেই উৎস ভ্যাট পরিশোধ করতে হচ্ছে। অথচ সৌন্দর্যসেবার মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ওই বাড়ি ভাড়া, ইউটিলিটি ব্যয় ও জোগানদারের মূল্যসহ ভ্যাটযুক্ত মোট সেবামূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ হারে সরবরাহ ভ্যাট প্রদান করা হচ্ছে। ফলে ভ্যাটের ওপর ভ্যাট প্রদান করতে হচ্ছে আমাদের। যার ফলে সৌন্দর্যসেবায় প্রায় ২৫ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধ করতে হচ্ছে।’

 

বিএসওএবি’র পক্ষ থেকে সৌন্দর্যসেবা খাতে করের হার কমিয়ে ৫ শতাংশ করার দাবি জানান কানিজ আলমাস খান। এর পাশাপাশি নকল প্রসাধনী বিস্তাররোধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বক্তৃতা শেষে সদ্য নির্বাচিত কার্যনির্বাহী প্যানেলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন সভাপতি কানিজ আলমাস খান। আয়োজনে সমাপনী বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সুমনা হাসান।