ঈদের আগে অন্দরে খানিক অদল-বদল

দীর্ঘ দুই বছরের রোগ-শোক আর ক্লান্তি কাটিয়ে এবার বেশ উৎসবের আবহ নিয়েই আসছে ঈদ। ঈদে অতিথির সমাগম তো হবেই। উৎসবের রঙে তাই অন্দর সাজিয়ে নেওয়ার এখনই সময়।

 

 

ভাবছেন এমনিতেই ঈদের জন্য বাড়তি খরচ, ঘরের আসবাব বদল করার বাজেট কোথায়? অন্দরসজ্জা বদল করার জন্য কিন্তু বড় বড় আসবার বদলে ফেলার প্রয়োজন নেই মোটেও। ছোট ছোট কিছু অদল-বদল করে নিলেই বেমালুম পাল্টে যাবে ঘরের সাজসজ্জা।

দীর্ঘদিন হয়তো জানালা-দরজার পর্দাগুলো বদলে নেওয়া হয় না। আলমারিতে উঠিয়ে রাখা বাড়তি পর্দা টাঙিয়ে দিন পুরনোগুলো খুলে। একটা ল্যাম্পশেড কিনে ঘরের কোণে রেখে দিতে পারেন। আলো জ্বালিয়ে দিলেই চমৎকার আলো-আধারির খেলায় ঘর হয়ে উঠবে উৎসবমুখর।

সাইড টেবিলে রাখা পুরনো শো-পিসগুলো সরিয়ে একটি ফুলদানি রেখে দিন। ঈদের দিন একগুচ্ছ তাজা ফুল রাখুন সেখানে। ব্যস! বদলে যাবে ঘরের আবহ। ঘরের কয়েক জায়গায় ইনডোর প্ল্যান্ট রাখতে পারেন। বেশ স্নিগ্ধ দেখাবে ঘর।

বসার ঘরের এক কোনে কাচের বাটিতে পানির উপরে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে ভাসিয়ে দিতে পারেন ছোট ছোট মোম। একটি অ্যাক্রেলিক পেইন্টিং টাঙিয়ে দেওয়া যায় বসার ঘরে। আসবাব বেতের হলে একটা রঙিন শতরঞ্জি বিছিয়ে দিন। বাড়িতে প্রবেশ করার দরজায় টাঙিয়ে দিতে পারেন উইন্ডচাইম। বাইরে কয়েকটি গাছের টব রেখে দিন। বদলে ফেলুন পাপোশ। দেখবেন অনেকটাই বদলে গেছে অন্দরসজ্জা।        

ইন্টেরিওর ডিজাইনার শিউলি মোস্তফা মনে করেন, ঘরের সাজ একজনের ব্যক্তিত্ব ও রুচিরই বহিঃপ্রকাশ। কেউ কেউ ঘুম জমকালো সাজে ঘর সাজাতে পছন্দ করেন। কেউবা একদম ছিমছাম সাজ ভালোবাসেন। কেউ দেশীয় আবহ রাখতে চান ঘরে। আবার কেউ ভালোবাসেন ঝকঝকে ঝাড়বাতি। তবে ঘরের সাজ যেমনই হোক, সামান্য একটু বদলের মাধ্যমেই উৎসবের আনন্দ নিয়ে আসতে পারেন অন্দরসজ্জায়।