চোখ জুড়ানো সবুজের বৃক্ষমেলায়

গাছে গাছে ঝুলে আছে আম। কোথাও আবার কাঁঠাল, করমচা কিংবা ডালিম কাড়বে নজর। রঙ-বেরঙের ফুলের গাছ তো আছেই। আছে শৌখিন বনসাই গাছ কিংবা কাঁটাওয়ালা ক্যাকটাসের দল। যেদিকে চোখ যায় স্বস্তিদায়ক সবুজে ভরপুর। বলছি বৃক্ষমেলার কথা। রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের মাঠে গত ৫ জুন শুরু হয়েছে জাতীয় বৃক্ষমেলা। জুলাই মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত এই মেলা চলবে। তবে ঈদ উপলক্ষে ২৭ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বৃক্ষমেলা।

গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে ফল ও ফুল। ছবি: বাংলা ট্রিবিউন

এবারের মেলার প্রতিপাদ্য ‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি।’ সামাজিক বন অঞ্চলের সমাজবিজ্ঞানী মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম জানালেন, এবার কিছু বিশেষত্ব রয়েছে বৃক্ষমেলার। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এবার মেলায় আগত মায়েদের জন্য রয়েছে ব্রেস্টফিডিং রুম ও বৃদ্ধদের জন্য বিশ্রাম কক্ষ। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ১২৪টি স্টল অংশ নিয়েছে এ বছর। সরকার নির্ধারিত মূল্যে গাছের চারা পেয়ে যাবেন বেশ কয়েকটি স্টলে। 

মেলায় আগত দর্শনার্থীরা দেখছেন গাছ।। ছবি: বাংলা ট্রিবিউন

ফলদ গাছ, ফুল গাছ, ঔষধি গাছসহ নানা ধরনের গাছের পাশাপাশি গাছের টব, সার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গও পেয়ে যাবেন মেলায়।

চলছে জাতীয় বৃক্ষমেলা।। ছবি: বাংলা ট্রিবিউন

বনানীর বাসিন্দা রওশন আরা বেগম মেলায় এসেছিলেন গাছ কিনতে। তিনি জানালেন, ছাদবাগানের জন্য একবারে বেশি করে গাছ কিনে নিয়ে যাবেন। অনেক ধরনের গাছের সম্ভার থেকে পছন্দসই গাছ কিনতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানালেন রওশন। মিরপুরের বাসিন্দা সজীব আহমেদ নিলয় অবশ্য শুধু ঘুরতেই এসেছিলেন। বললেন, ‘আজকে খোঁজখবর করে যাচ্ছি। দাম সম্পর্কে ধারণা নিয়ে এরপর আরেকদিন এসে কিনবো পছন্দের গাছ।’ গাছের দাম কিছুটা বেশি বলে অভিযোগ করলেন তিনি। 

বিভিন্ন ধরনের ফুল, ফল ও ঔষধি গাছ রয়েছে মেলায়।। ছবি: বাংলা ট্রিবিউন

সকাল নয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে সবার জন্য। মেলায় প্রবেশের জন্য কোনও টিকিটের প্রয়োজন নেই।