শুষ্ক ত্বক শীতের অন্যতম প্রধান বিড়ম্বনার না,। শীতের আগমনের সাথে সাথেই শুষ্ক, ফ্ল্যাকি এবং নির্জীব ত্বকের সাথে লড়াই শুরু হয়। ময়শ্চারাইজিং ক্রিম এবং প্রাকৃতিক প্রতিকার সাময়িক স্বস্তি প্রদান করতে পারে। তবে আসল সমাধান আমাদের খাবার এবং শরীরকে আমরা যে পুষ্টি সরবরাহ করি তার মধ্যে রয়েছে। আপনি যা খান তা আপনার ত্বকে প্রতিফলিত হয়। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে ত্বক ভেতর থেকেই থাকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
ভারতীয় পুষ্টিবিদ রূপালী দত্ত জানান, শুষ্ক ত্বক অপর্যাপ্ত চর্বি গ্রহণের ইঙ্গিত দিতে পারে। প্রতিদিনের ক্যালোরির ১৫ শতাংশ চর্বি এবং তেল থেকে আসা উচিত। এছাড়া আবহাওয়াো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঠান্ডার কারণে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়। পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ খাওয়ার মাধ্যমে আমরা এটি প্রতিরোধ করতে পারি।
শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন খাবারগুলো ভালো?
সুস্থ ত্বক বজায় রাখতে পর্যাপ্ত ভিটামিন এবং পুষ্টি গ্রহণের দিকে মনোনিবেশ করা জরুরি৷ ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন এ, সি, ডি এবং ই এর দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে পানি। স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর ত্বকের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করে হাইড্রেটেড থাকতে হবে। পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় কিছু খাবার রাখতে হবে যেগুলো শীতের শুষ্কতা থেকে বাঁচাবে ত্বক।
১। মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু ভিটামিন এ সমৃদ্ধ যা ত্বক মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয়। এতে থাকা বিটা-ক্যারোটিন শীতের কঠোর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। শীতের সময় নিয়মিত খান পুষ্টিকর মিষ্টি আলু। ত্বক থাকবে উজ্জ্বল ও কোমল।
২। বাদাম এবং বীজ
বিভিন্ন ধরনে রবাদাম ও বীজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড দিয়ে পরিপূর্ণ থাকে যা শরীরকে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়। কোষের ক্ষতি মেরামত করতে সাহায্য করে ও ত্বকের কোষের পুনর্জন্মকে উৎসাহিত করে বীজ ও বাদাম। ত্বকের শুষ্কতা রোধ করতে দিনে এক মুঠো বাদাম, আখরোট বা সূর্যমুখীর বীজ খান।
৩। পালং শাক
পুষ্টি, ভিটামিন এবং খনিজের পাওয়ার হাউস হচ্ছে পালং শাক। এতে রয়েছে আয়রন এবং ত্বকবান্ধব ভিটামিন ই। পালং শাকের ভিটামিন এ এবং সি ত্বক মেরামত প্রক্রিয়া শুরু করে এবং বজায় রাখে। পালং শাকও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং হাইড্রেশনে ভরপুর, যা আপনার ত্বককে রাখবে সুস্থ।
৪। মাছ
মাছের অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। মাছ হলো ওমেগা ৩ এর অন্যতম প্রধান উৎস। ডায়েটে মাছ অন্তর্ভুক্ত করুন তাই। ডুবো তেলে ভাজার পরিবর্তে স্টিমিং, গ্রিলিং, পোচিং বা বেকিং পদ্ধতি বেছে নিন।
তথ্য: এনডিটিভি