সারাদিন ঠিকমতো শক্তি পেতে চাইলে সাহরিতে সঠিক খাবার নির্বাচন করা জরুরি। সারাদিনের ক্ষুধা মোকাবেলায় সাহায্য করে এই খাবার। জটিল কার্বোহাইড্রেট, ধীরে-নিঃসৃত প্রোটিন, খেজুর, বাদামের মতো পুষ্টিকর খাবার খান সাহরিতে। এগুলো ধীরে হজম হয়, ফলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত শরীর পায় প্রয়োজনীয় শক্তি। এছাড়া সাহরির খাবার হতে হবে সুষম পুষ্টিকর। ভারতের ভিয়ারুটস ওয়েলনেস সলিউশনের সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার ডা. বিজু কেএস জানাচ্ছেন কোন কোন খাবার রাখবেন সাহরিতে।
- খেজুর ফাইবার সমৃদ্ধ। পুষ্টির পাওয়ার হাউস এই ফলে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন বি৬ এবং পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রনসহ বিভিন্ন খনিজ। ইফতারের পাশাপাশি তাই সাহরিতেও খেতে পারেন খেজুর।
- হোলগ্রেন ফুড রাখুন সাহরিতে। আস্ত শস্যের খাবার বিপাকের সময় ধীরে ধীরে কার্বোহাইড্রেট মুক্ত করে, ফলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত শক্তি সরবরাহ করতে পারে আমাদের। গোটা শস্যের সিরিয়াল, হোলগ্রেইন ওটস, হোল গ্রেইন রাইস এবং হোল গ্রেইনের রুটি খান।
- ফল রাখুন সাহরিতে। আপেল, কমলা, পেঁপে, আঙুর, নাশপাতি, বরইয়ের মতো ফল খেতে পারেন এ সময়।
- বেশিরভাগ বাদামে খুব কম কার্বোহাইড্রেট থাকে। বাদাম প্রোটিন, উচ্চ মানের চর্বি, খনিজ এবং ভিটামিনের দুর্দান্ত উৎস। এগুলো হজমও হয় খুব ধীরে।
- ডিম উচ্চমানের প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টির চমৎকার উৎস। ডিমের প্রোটিন সম্পূর্ণরূপে শোষিত হতে প্রায় তিন ঘন্টা সময় নেয়। তাই এটি সাহরির জন্য বেশ ভালো একটি খাবার।
- যারা সহজে হজম করতে পারেন, তারা সাহরিরে দুধ খেতে পারেন। দুধের প্রধান প্রোটিন কেসিন হলো সবচেয়ে ধীর নিঃসৃত প্রোটিনগুলোর মধ্যে একটি, যা সম্পূর্ণরূপে শোষিত হতে ৪ ঘন্টার বেশি সময় নেয়।
- বীজ ও ডালজাতীয় খাবার অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ। ছোলা, মটরশুঁটি, সয়া ইত্যাদি খাবার রাখতে পারেন সাহরিতে। বীজ ওমেগা-৩ এর মতো উপকারী চর্বির উৎসও।
- প্রোবায়োটিক হিসেবে দুর্দান্ত খাবার হতে পারে দই। উপকারী ব্যাকটেরিয়ার চমৎকার উৎস এটি। প্রোবায়োটিক শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তি দূর করে।