ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছেন, গাছগুলোর কী হবে?

এবার বেশ লম্বা ছুটির দেখা মিলছে ঈদে। ছুটিতে অনেকেই গ্রামের বাড়িতে ছুট দিচ্ছেন। কেউ আবার দেশ বা দেশের বাইরে ভ্রমণের পরিকল্পনা করে ফেলেছেন। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে বারান্দায় থাকা গাছগুলোর কী হবে সেটা ভেবে অনেকেই পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। কিছু পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারলে পানির অভাবে গাছ মারা যাবে না। জেনে নিন টিপস। 

 

  • একদম সরাসরি রোদ পড়ে এমন স্থান থেকে গাছগুলো সরিয়ে ফেলুন। নাহলে রোদের তাপে দ্রুত গাছ বিবর্ণ হয়ে পড়বে। আলো পড়বে কিন্তু রোদ পড়বে না এমন স্থানে রাখুন টবসহ গাছ। বারান্দার যে অংশে রোদ পড়ে না সে অংশে রেখে যেতে পারেন।
  • ঈদের ছুটিতে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে।এজন্য  ক্যাকটাস বা সাকুলেন্ট ধরনের গাছ এমন কোথাও রাখবেন না যেখানে সরাসরি বৃষ্টির পানি এসে পড়ে। কারণ টবে পানি জমে থাকার কারণে এ ধরনের গাছ মারা যেতে পারে। 
  • কোকোডাস্ট মাটির ময়েশ্চার ধরে রাখতে সাহায্য করে। গাছের গোড়ায় ঘন করে কোকোডাস্ট ছড়িয়ে দিতে পারেন। এছাড়া নারকেলের ছোবড়ার গুঁড়া কিংবা কাঠের গুঁড়াও মাটির পানি ধরে রাখতে পারে।  
  • কার্যকর একটি পদ্ধতি হচ্ছে সলতে বা দড়ির সাহায্যে পানি দেওয়া। এজন্য লাগবে পাটের দড়ি ও বড় বালতি। টবের পাশে বালতিতে পানি রাখুন। পাটের দড়ি ভিজিয়ে এর এক প্রান্ত পানিতে ডুবিয়ে রাখুন এবং অন্য প্রান্তটি টবের মাটির তিন ইঞ্চি ভেতরে পুঁতে দিন। মাটি শুকিয়ে এলে দড়ির সাহায্যে বালতি থেকে পানি টবে চলে আসবে। ইনডোর প্ল্যান্ট বা অল্প গাছ হলে বালতির বদলে গ্লাস বা হাঁড়িও ব্যবহার করা যেতে পারে।  
  • পানিভর্তি বোতলে যুক্ত করা যায় এমন এক ধরনের বিশেষ লম্বা নল পেয়ে যাবেন বড় বড় নার্সারিতে। বোতলের মুখ খুলে সেখানে ছিপির মতো করে নলটি লাগিয়ে গাছের মাটিতে গেঁথে দিতে হবে। নলটি পানি পড়ার জন্য খুলে দিলে স্যালাইনের মতো পানি পড়তে থাকবে। একে বলে ড্রিপ ইরিগেশন পদ্ধতি। কেনার সময় এর ব্যবহারবিধি ভালো করে জেনে আসবেন। 
  • প্লাস্টিকের পানির বোতল বা লম্বা কোনও বোতলের মুখে কয়েকটি ছিদ্র করুন। বোতলে পানি ভরে উল্টো করে ভেজা মাটির গভীরে ঢুকিয়ে দিন ছিদ্রসহ বোতলের মুখ। মাটির এক থেকে দুই ইঞ্চি ভেতরে ঢোকাবেন। মাটি সহজে শুকাবে না।