প্রশ্ন: আমার বয়স ২০ বছর। আমার অনেকগুলো বয়ফ্রেন্ড আছে। আমি জানি নৈতিকতার জায়গা থেকে এটা ঠিক না। কিন্তু আমার সবার সাথে সম্পর্ক রাখতেই ভালো লাগে। কারোর সঙ্গে শপিং করতে ভালো লাগে, কারোর সঙ্গে ডেটে যেতে ভালো লাগে। আমি আসলে কাকে ঠিক মতো চাই বুঝে উঠতে পারি না। এটা কী কোনও ধরনের অসুস্থতা? কীভাবে এই সমস্যার সমাধান মিলবে?
উত্তর: সাইকিয়াট্রির পরিভাষায় এটা কোনও ধরনের অসুস্থতা নয়। এটা আপনার একটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। প্রচলিত নৈতিকতার মানদণ্ডে আপনার নিজের কাছে নিজের এই বৈশিষ্ট্যকে অনৈতিক মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। এ ধরনের বৈশিষ্ট্যের উপরে ব্যক্তির সাধারণত কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। সুতরাং এ বৈশিষ্ট্যকে নিয়ে অনুশোচনা করে লাভ নেই। বরং তা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তবে এ বৈশিষ্ট্যের কারণে তৈরি হওয়া যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতিকেও আপনার মেনে নিতে হবে এবং আপনিও তা জানেন। নিজের ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলোর বিকাশের দিকে মনোযোগী হোন। আর সেটা করতে হলে নিজের মধ্যকার তথাকথিত ভালো এবং মন্দ সকল বৈশিষ্ট্যকে সততার সাথে আপন করে নিতে হবে। তবেই আপনার অনাকাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্যের তীব্রতা কমে যাবে। আপনার এই বৈশিষ্ট্য বয়সের সাথে সাথে কমেও যেতে পারে। আমরা কেউই আমাদের ভবিষ্যত সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলতে পারি না। সুতরাং ভবিষ্যত নিয়ে এখনি বেশি চিন্তা-ভাবনা করার প্রয়োজন নেই।
প্রশ্ন: আমার বয়স ৩১ বছর। আমাদের ৩ বছরের সংসার। আমার স্ত্রী প্রায়ই আমাকে হুমকি দেয় নারী নির্যাতনের কেইসে ফাসিয়ে দেবে বলে। অথচ আমি কোনও দিন তার সঙ্গে জোরেও কথা বলিনি। তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো, এই নিয়ে সবসময় গর্ব করতে থাকে। পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছিলাম আমরা। কিন্তু মনে হচ্ছে জেলখানায় আটকে পড়েছি। করণীয় কী ভাবতে ভাবতে মানসিক রোগী হয়ে যাচ্ছি।
উত্তর: আপনার স্ত্রীর মানসিক পরিপক্কতা কম থাকার কারণে উনি গর্ববোধ করেন এবং আপনার প্রতি অন্যায় আচরণ করেন। আপনাকে নৈর্ব্যক্তিকভাবে বুঝতে হবে, আপনার প্রতি তার ভালোবাসার প্রকাশ সে কোনও না কোনও ভাবে করছে কি না। বা আপনার প্রতি সে প্রকৃত অর্থে ভালোবাসা অনুভব করে কি না। এ ধরনের আচরণ সে শুধুমাত্র আপনার সাথেই করে নাকি মোটামুটি সবার সাথে করে সেটাও বিবেচ্য বিষয়। তার এই আচরণ যদি তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হয়, তবে এ থেকে তাকে মুক্ত করা কঠিন। উনার এই বৈশিষ্ট্যের ব্যাপারে উনার পরিবারের সদস্যদের মনোভাব কেমন বা আপনার প্রতি তাদের মনোভাব কেমন সেটাও বিবেচ্য বিষয়। সর্বোপরি আপনাকে নিজের সাথে বোঝাপড়া করতে হবে, তার প্রতি আপনার ভালোবাসার মাত্রা কতোটুকু। অর্থাৎ এটা যদি তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যই হয়, তাহলে এই বৈশিষ্ট্যসহই আপনি তাকে মেনে নেওবার জন্য প্রস্তত কি না সেটা চিন্তা করে দেখুন।