ডিমের চেয়েও বেশি জিংক মেলে এই ৫ খাবারে

কোষ বিভাজনের পাশাপাশি কোষগুলোকে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং ডিএনএ নামক জেনেটিক উপাদান তৈরি করতে সাহায্য করে জিংক। শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই খনিজ ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে, ঘ্রাণ ও স্বাদের অনুভূতিতে সহায়তা করে এবং শিশুর বিকাশে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। প্রোটিনের পাশাপাশি জিংকও সরবরাহ করে ডিম। তবে ডিমের পাশাপাশি আরও কিছু খাবার থেকে প্রয়োজনীয় এই খনিজ পেতে পারেন। 

  1. মিষ্টি কুমড়ার বীজ থেকে পেতে পারেন জিংক। জিংকের একটি উদ্ভিজ্জ উৎস এটি। প্রতি ১ আউন্স বীজে প্রায় ৭.৮ মিলিগ্রাম জিংক রয়েছে। এটি একটি বড় ডিমে পাওয়া পরিমাণের প্রায় আট গুণ। জিংক ছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস কুমড়ার বীজ। 
  2. কাজুবাদাম জিংকের আরেকটি উৎকৃষ্ট উৎস। প্রতি ১ আউন্স কাজুবাদামে ৫.৬ মিলিগ্রাম জিংক মেলে। প্রতি আউন্স ডিমে পাওয়া জিংকের পাঁচ গুণেরও বেশি এটি। কাজুবাদাম স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম এবং কপারের মতো প্রয়োজনীয় খনিজগুলোও সরবরাহ করে। 
  3. এক কাপ রান্না করা ছোলায় মেলে ২.৫ মিলিগ্রাম জিংক। এছাড়াও ছোলা প্রোটিন, ফাইবার এবং বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজের ভালো উৎস। 
  4. জিংকের দারুণ উৎস পনির। ১ আউন্স পনিরে প্রায় ২ মিলিগ্রাম জিংক পাওয়া যায়। জিংক ছাড়া ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন সরবরাহ করে পনির। এসব উপাদান হাড়ের স্বাস্থ্য এবং পেশী ফাংশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 
  5. ছোলার মতো মসুর ডালও জিংকের উদ্ভিজ্জ উৎস। ১ কাপ মসুর ডালে প্রায় ২.৫ মিলিগ্রাম জিংক মেলে। প্রোটিন, ফাইবার এবং বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজও পাওয়া যায় ডাল থেকে। 


তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া