আম খাওয়া শেষ করে এর আঁটি ফেলে দিই আমরা। তবে জানেন কী নানা ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে এতে? ভিটামিন এ, সি, ই, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ফলেট ছাড়াও আমের আঁটিতে থাকে ম্যাঞ্জিফেরিন, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খুব ভালো উৎস। আমের আঁটি কাজে লাগাতে পারেন নানাভাবে।
- আমের আঁটির ভেতরের শাঁস থেকে বানানো হয় ম্যাংগো বাটার। এই বাটার শিয়া বাটারের মতোই ব্যবহার করা যায় ত্বকের যত্নে। এই বাটার ত্বককে নরম ও কোমল করে। সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারেও এর ভূমিকা রয়েছে।
- আমেরিকার ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের গবেষণা বলছে, আমাদের আঁটি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। এছাড়া আমের আঁটিতে থাকা ম্যাঞ্জিফেরিন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
- আমের আঁটির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। ২০২০ সালের একটি গবেষণা বলছে, আমের বীজের তেল ত্বকে ব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়া দূর হয়।
- আমের আঁটির ভেতরে থাকা শাঁস বের করে রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন। এই গুঁড়া মিশিয়ে নিতে পারেন টুথপেস্টের সঙ্গে। দাঁত উজ্জ্বল হবে।
- আমের আঁটিতে রয়েছে অলিয়েক, স্টিয়েরিক, লিনোলিয়েকি নামে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা খেলে ত্বকের নানা সমস্যা দূর হয়।
- আমের আঁটির ভেতরের শাঁস বের করে রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন। এই গুঁড়া মেশান নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে। তিন সাতেক পর এটি চুলে লাগান। চুল ঝলমলে ও মজবুত হবে।
- আমের আঁটি ফাইবার, ভিটামিন সি, বি ৬, এ, ই এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ। ফোলেট, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং বিটা ক্যারোটিনের ভালো উৎস এই আঁটি। আমের আঁটি থেকে তৈরি তেল ত্বক ও চুলে ব্যবহার করলে তাই উপকার পাবেন নানাভাবে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও হেলথলাইন