ছুটির দিনে বুড়িগঙ্গায়

পানি বেড়েছে বুড়িগঙ্গায়। দুর্গন্ধটাও কম। হঠাৎ যেন হারানো যৌবন ফিরে পেলো পুরনো বুড়িগঙ্গা। তাতেই পুরান ঢাকার মানুষের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে এ নদী। সময় পেলেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বুড়িগঙ্গায় ঘুরতে যাচ্ছেন অনেকে।

শিক্ষার্থীরা যাচ্ছেন বন্ধু-বান্ধবসহ। তাদের লক্ষ্য নৌকায় ঘোরা। নবদম্পতি আর প্রেমিক-প্রেমিকারাও আছেন সেই তালিকায়।

কথা হয় বুড়িগঙ্গায় বেড়াতে আসা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক যুগলের সঙ্গে। তারা বললেন, বুড়িগঙ্গায় আমরা প্রায়ই নৌকায় ঘুরি। মাঝেমধ্যে বন্ধু-বান্ধবসহ আড্ডা দিই। এখানে সবচেয়ে ভালো লাগে নৌকাভ্রমণ। প্রাকৃতিক হওয়াটা বেশ লাগে। গ্রামের কথা মনে পড়ে যায়।

image (2)

ঘুরতে আসা শামসুজ্জামান বললেন, সপ্তাহে একদিন ছুটি পাই। আজ (শুক্রবার) বিকালে শিশুদের নিয়ে বুড়িগঙ্গায় ঘুরতে এসেছি। এখন পানি কিছুটা বেড়েছে। গন্ধও নেই। ভালোই লাগছে। তবে নৌকায় নিরাপত্তা সরঞ্জাম না থাকায় বাচ্চাদের নিয়ে একটু ভয় লাগছে।

image (3)

কবি নজরুল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের একঝাঁক শিক্ষার্থীকেও দেখা গেলো শুক্রবার বিকালে নৌকায় উচ্চস্বরে প্রাণ খুলে হাওয়া সিনেমার ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গাইতে। বাদাম খেতে খেতে মিশু বললেন, বন্ধুদের সঙ্গে নৌকাভ্রমণ ও গান গাওয়ার মতো আনন্দ অন্য কিছুতে খুঁজে পাওয়া যায় না।

এক নবদম্পতি জানালেন তাদের দুশ্চিন্তার কথা। ‘অবসরে নৌকায় ঘুরতে ভালোই লাগছে। কিন্তু নৌকায় শুধু একটা টায়ার আছে। কোনও লাইফ জ্যাকেট বা নিরাপত্তা সরঞ্জাম নেই। এখানে তো অনেকে আসেন। দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। প্রতিটি নৌকায় লাইফ জ্যাকেট থাকা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।