সেহরিতে কী খাবেন, কী খাবেন না

রমজান মাসের দুই-তৃতীয়াংশ শেষ হয়ে গেছে। তবে সুস্থ থেকে বাকি রোজাগুলো পালনের চ্যালেঞ্জ কিন্তু রয়ে গেছে। সেহরিতে কী খেলে ও কী করলে আপনি দিনভর রোজা রেখে সুস্থ থাকবেন, তা জানা যাক-

 

১। প্রচুর পানি, তবে একবারে নয়: যেহেতু গরম বেশি, দিনটাও বেশ বড়, তাই সেহরিতে বেশি পানি পান করার চেষ্টা করুন। এতে দিনজুড়ে শরীরে পানির চাহিদা মিটবে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে গ্রীষ্মের গরমে সুস্থ থাকতে হলে  দুই লিটার পানি অবশ্যই পান করতে হবে। তবে সেহরিতে একবারেই দুই লিটার পানি পান করতে হবে না। সেটা সম্ভবও নয়।  বিরতি দিয়ে একটু পর পর কয়েক গ্লাস পানি পান করুন। বাকিটা ইফতারের পর।

২। সেহরিতে বেশি নয়: সেহরিতে পরিমিত ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। আপনি যদি মনে করেন সেহরিতে প্রচুর খেলে দিনজুড়ে ক্ষিদে লাগবে না, তাহলে ভুল ভাবছেন। সেহরিতে চর্বি বাদ দিয়ে আঁশ সমৃদ্ধ খাবার খান। এতে দিনজুড়ে শরীরে শক্তি অনুভব করবেন।

৩। খেজুর খান: শুধু রমজান নয়, সবসময়ের জন্যই উপকারী ও পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবার হলো খেজুর। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) খেজুর পছন্দ করতেন ও অন্যদের খাওয়ার উপদেশ দিতেন। খেজুরে আছে কপার, সেলেনিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এতে ভিটামিন কে-ও আছে। খেজুর প্রাকৃতিক গ্লুকোজেরও উৎস।

৪। দই সেরা: সেহরি শেষে অন্তত এক চামচ দই খেলেও সেটা হজমের জন্য উপকারী। কারণ এটি পাকস্থলী শান্ত রাখে, অ্যাসিডিটি কমায়।

৫। আপেল কিংবা কলা: সেহরিতে ফল হিসেবে একটি আপেল অথবা একটি কলা বেশ স্বাস্থ্যকর। পারলে দুটিই খান সেহরিতে। কারণ ফল দুটিতে আঁশ, ভিটামিন সি, নানা ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। আপেল ও কলা আপনার শরীরে পানির ঘাটতিও কমাবে, শরীর সতেজ রাখবে।

৬। এসব এড়িয়ে চলুন: সেহরিতে লবণাক্ত, অতিরিক্ত মসলাদার ও চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এসব খাবার শরীরে নানা রকম উপসর্গ দেখা দেয়। তৃষ্ণাও বাড়ায়।

৭। পরিশেষে ‍ঘুম: রোজার সময় আগের রুটিনে পরিবর্তন আসবেই। অন্যদিকে সুস্থ থাকতে প্রতিরাতে পর্যাপ্ত ঘুমও জরুরি। তাই সেহরিতে ওঠার জন্য বেশি রাত না জেগে আগের চেয়ে একটু তাড়াতাড়ি ঘুমানোর চেষ্টা করুন। এতে হজম নিয়ে চিন্তায় পড়তে হবে না। সেহরির সময় শেষ হওয়ার অন্তত ১ ঘণ্টা আগে ওঠার চেষ্টা করুন। ধীরে সুস্থে খাবার গ্রহণ করুন। তাড়াহুড়ো করে সময় শেষ হওয়ার ৫/১০ মিনিট আগে সেহরি খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়।

 

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস ডট কম