তবে ২০১৭ যে শুধুই একটি খারাপ কিংবা অন্ধকারাচ্ছন্ন বছর ছিল তা নয়। এ বছর আমার জীবনে যেমন কিছু আনন্দের বিষয় যুক্ত হয়েছে অনেকের জীবনের সঙ্গে তেমনি যুক্ত হয়েছে অনেক আনন্দের বিষয়। ২০১৭ সালে জেমকন সাহিত্য পুরস্কারের জন্য আমার “দু’টি গাথাকাব্য” গ্রন্থটি মনোনীত হয়েছিল। এতে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছিলাম। এই কাব্যগ্রন্থটিতে আমার জীবনদৃষ্টির প্রকাশ ঘটেছে। বলা যায়, আমি এক নাগাড়ে দেড় মাসের ভেতরে ‘এ কোন বেহুলা’ ও ‘সে ছিল বেদেনি’ এই পর্ব দুটি লিখতে সক্ষম হয়েছিলাম। ২০১৭ সালের প্রথম থেকে বেশ কিছুদিন আমি অসুস্থ ছিলাম। এখন শেষের দিকে এসে বলা যায় পুরোপুরিই সুস্থ হয়ে উঠেছি। এটাও অনেক আনন্দের বিষয়। এটা তো ২০১৭ই আমাকে দিলো। আগামী বছরের পুরোটা জুড়ে এরকম সুস্থ অবস্থায় থেকে আমি পরিবারকে সময় দিতে চাই। আমি এখন বেশ আনন্দে আছি। পরিবারের সবাই এখন আমার চারিপাশে আছে। কয়েকজন আত্মীয় এসেছেন। সারাদিন কেমন একটা উৎসব উৎসব অবস্থা আমার বাড়িতে। গত বছর পরিবারের সবাইকে একসঙ্গে এতো সময় ধরে আমি কাছে পাইনি। ২০১৮ সালটি সবাইকে কাছে নিয়ে আমার এভাবেই দিনগুলো কেটে যাক সেটাই আমার প্রত্যাশা।
এছাড়া ২০১৮ সালে অপেক্ষা আছি অনেকগুলো কবিতা লেখার, অনেক নতুন বই পড়ার জন্য। মূল অপেক্ষা হলো প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা ২৪০ পৃষ্ঠার দীর্ঘ কবিতার বই নিয়ে। তবে দীর্ঘ কবিতা না বলে মহাকবিতা বলতেই আমার ইচ্ছে। বইটির নাম রেখেছি ‘এ স্বপ্ন এ ভোর প্রভাতের আলো’। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে নতুন একটি আগমনী বার্তার অপেক্ষা। আশা করি ফেব্রুয়ারির আগেই বইটি প্রকাশিত হবে। বইটি প্রকাশ করছে বাতিঘর।
২০১৮ সাল নিয়ে অপেক্ষা, প্রত্যাশা কিংবা ভাবনা যা-ই বলা হোক না কেন তা আপাতত এতটুকুই। নতুন বছর শুরু হলে তখন হয়তো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক অপেক্ষা কিংবা প্রত্যাশা তৈরি হবে।
সবাইকে নতুন ইংরেজি বছরের শুভেচ্ছা।
শ্রুতিলিখন : মহিউল ইসলাম