ক্রেতা-পাঠকের উপস্থিতি আরও বাড়বে আশা করছি

[বাংলাদেশে বই প্রকাশনার জগতে ‘পাঞ্জেরী’ একটি সুপরিচিত নাম। ১৯৯৪ সালে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স যাত্রা শুরু করে। ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠানটি লিমিটেড কোম্পানিতে পরিবর্তিত হয়। শুরুতে শিক্ষাবিষয়ক বই প্রকাশনার মাধ্যমে যাত্রা করলেও বর্তমানে এর পরিধি বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ। শিক্ষাবিষয়ক বইয়ের পাশাপাশি আধুনিকায়ন ও বিশ্বায়নের চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে প্রকাশ করে চলছে বয়সভিত্তিক সৃজনশীল এবং মননশীল বই। পাঞ্জেরী পাবলিকেশনের পক্ষে কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম।]

প্রশ্ন : আপনার প্রকাশনাপ্রতিষ্ঠান থেকে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২-এ কয়টি বই আসবে? গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বই সম্পর্কে যদি ধারণা দেন…
উত্তর : অমর একুশে গ্রন্থমেলা নিয়ে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি.-এর আয়োজনে প্রায় অর্ধশত বই রয়েছে। এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বই রয়েছে বেশ কিছু৷ যেমন—'ঠার : বেদে জনগোষ্ঠীর ভাষা' বইটির রচনা করেছেন গবেষক, সমাজ সংস্কারক, ডিআইজি হাবিবুর রহমান। বেদে জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রচলিত ঠার ভাষা নিয়ে এত বিস্তারিত গবেষণামূলক বই ইতিপূর্বে  প্রকাশিত হয়নি। 'বাংলাদেশের নারীযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুর অবদান' শীর্ষক গবেষণাধর্মী বইটি রচনা করেছেন ড. ফাল্গুনী তানিয়া। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রম হারানো ভাগ্যাহত নারীদের জীবনের কথা ও তাঁদের জীবনের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্যে বঙ্গবন্ধুর পদক্ষেপগুলো এই বইয়ে বিস্তারিতভাবে উল্লেখিত হয়েছে। 'Choice of Verse' শীর্ষক কবিতার বইটি কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার স্বনির্বাচিত কবিতার ইংরেজি অনুবাদ। 'স্বনির্বাচিত কবিতা' বইটি সদ্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত কবি আসাদ মান্নানের স্বনির্বাচিত কবিতার সংগ্রহ। 'আত্মকেন্দ্রিক মশকরা' বইটি চলচ্চিত্রকার ও স্থপতি এনামুল করিম নির্ঝরের ফটোগ্রাফি ও কবিতার ব্যতিক্রমী সংকলন।

প্রশ্ন : বই প্রকাশ বা পাণ্ডুলিপি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোন দিকটাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন?
উত্তর : পাঞ্জেরী শুরু থেকেই ভালো লেখার প্রতি অধিক মনোযোগ দিয়ে আসছে। আমাদের মূল লক্ষ্য যেকোনো লেখকের মানসম্মত পাণ্ডুলিপি। 

প্রশ্ন : এবারের বইমেলার সার্বিক পরিস্থিতি কেমন লাগছে?
উত্তর : সার্বিক পরিবেশ ভালো। স্কুল, কলেজ খুলে গেলে ক্রেতা-পাঠকের উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা করছি।

প্রশ্ন : বিগত বছরগুলো বিশেষ করে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২১ সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা জানতে চাই।
উত্তর : করোনা আক্রান্ত বৈশ্বিক পরিবেশ কারো পক্ষেই অনুকূলে ছিল না। সেই নেতিবাচক প্রভাব গত বইমেলায় পড়েছে। প্রকাশকরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। আশা করি, এ বছর আমরা সার্বিকভাবে সব ক্ষতি সামলে নিতে পারব।

প্রশ্ন : সারা বছর বই বিপণন নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
উত্তর : আমরা সারাবছর বই বিপণন করি। দেশজুড়ে পাঞ্জেরীর নেটওয়ার্ক রয়েছে। করোনার কারণে আমরা আমাদের অনলাইন বিপণন ব্যবস্থাকে আরো সুবিন্যস্ত করেছি। এর সুফলও আসতে শুরু করেছে। আশা করি, আমরা করোনাকালীন প্রতিকূল পরিবেশ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হব।