বার্লিনে রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন উদযাপন

nonameবিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে গত ২৪ আগস্ট জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বিশ্বে রবীন্দ্রচর্চা : একটি সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা। এতে বাংলাদেশ থেকে যোগ দিয়েছেন কবি শিহাব শাহরিয়ার এবং ড. রেজাউল ইসলাম (কবি শামীম রেজা)।  
সভাপতির বক্তব্যে লেখক ও সাংবাদিক নাজমুন নেসা পিয়ারী বলেন, আজকের যুদ্ধবিশ্বে রবীন্দ্রনাথের বাণী ও তাঁর জীবনদর্শন আমাদের শান্তির দিশা দেখাবে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে রবীন্দ্রনাথ কয়েকবার জার্মানি সফর করে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। যা কেবল একজন রকস্টারের সঙ্গেই সমতূল্য। 
একইসঙ্গে নাজমুন নেসা পিয়ারী উপস্থিত জার্মান শ্রোতাদের উদ্দেশেও একই বক্তব্য জার্মান ভাষায় তুলে ধরেন। তিনি বিশ্বে রবীন্দ্রচর্চা প্রসারের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
মূল প্রবন্ধে কবি শামীম রেজা বলেন, নোবেল প্রাপ্তির পরে আর্হেন্তিনা, ম্যাক্সিকো ও চিলিতে স্প্যানিশ ভাষায় গীতাঞ্জলি অনুবাদ করেন কামপ্রুবি। এর প্রভাবে ১৯১৭ সালে বলিবীয় লেখক আবেল আলাকর্ন মাদ্রিদে পূর্ণাঙ্গ গীতাঞ্জলি অনুবাদ করেন; এর ফলে লাতিন আমেরিকায় রবীন্দ্রচর্চা বিকশিত হতে থাকে। এছাড়া ইংরেজি, চীনা, ফার্সি-সহ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় রবীন্দ্রনাথের কবিতা অনূদিত হয়েছে। তাই আজকে বলা যায় না যে, বিশ্বসাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ অপঠিত রয়ে গেছেন।
বিশেষ অতিথি কবি ও গবেষক শিহাব শাহরিয়ার বলেন, রবীন্দ্রনাথ তাঁর আসল প্রতিভাকে আবিষ্কার করেন বাংলাদেশে এসে। বিশাল পদ্মায় বজরা ভাসিয়ে বা স্পিডবোটে যেতে যেতে কিংবা গ্রাম্য ধূলিপথে হাঁটতে হাঁটতে কিংবা বকুলতলায় বসে বসে কিংবা কাছারি ও কুঠিবাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে শুধুই কি প্রকৃতিকে অনুভব করতেন? তখন কি তাঁর সৃজনশীল মন নেচে ওঠেনি? উঠেছে তো বটেই। তাই আমরা রবীন্দ্রসাহিত্যে দেখতে পাই সাধারণ মানুষের বিপুল কলরব।
সভায় বাণী পাঠান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাবেক জার্মান সংসদ সদস্য এবং সাবেক জার্মান-দক্ষিণ এশিয়া ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের সভাপতি মি. হান্স ইওয়াখেম ফুগ।