তবে আমি মনে করি, এ ধরনের উৎসবে যদি অনুবাদের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া যায় তাহলে আমাদের সাহিত্য যেমন বর্হিবিশ্বে পৌঁছে যাবে তেমনি বিদেশি সাহিত্যও আমরা সহজে হাতে পাবো। আমি বলছি না যে, আমাদের দেশে ভালো অনুবাদ হয় না। প্রয়াত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ফখরুল আলম, কায়সার হক এরা ভালো অনুবাদ করছেন। বর্তমান সময়ে তরুণরা ইংরেজিতে লিখছেন যা আমাদের বাংলা সাহিত্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে লেখকদের যে মিলনমেলা হয় তাতে করে বৈশ্বিক সাহিত্যের সঙ্গে বাংলা সাহিত্যের যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়; আমি মনে করি এতে আমরাই বেশি উপকৃত হই। উৎসবে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন পাবলিকেশন এমনকি যারা অথিতি সাহিত্যিক হিসেবে আসছেন তারাও তাদের দু-একটি বই নিয়ে আসছেন। ফলে অনায়াসে আমরা সেগুলো আমাদের হাতে পেয়ে বৈশ্বিক সাহিত্য সম্পর্কে জানতে পারছি।
আমি ঢাকা লিট ফেস্ট’র সাফল্য কামনা করি। যারা এটি আয়োজন করছেন, যারা নিরন্তর শ্রম দিচ্ছেন তাদের প্রতি রইলো আমার অভিনন্দন।
শ্রুতিলিখন : আমিনুল ইসলাম। ছবি : মুম রহমান