এবার নাইপলের সঙ্গে সামনাসামনি কথা হবে : কায়সার হক

কায়সার হকnonameএই ফেস্টিভালের শুরুর দিকে ইংরেজি সাহিত্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হতো। তবে এখন বাংলা সাহিত্যের গুরুত্ব আগের চেয়ে অনেক বাড়ছে। অনেক বৈচিত্রপূর্ণ বাংলা সেশনও রাখা হচ্ছে। এর সাথে সাথে আমাদের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও লোকসাহিত্য তুলে ধরা হচ্ছে। এটা একটা ভালো দিক। তারা কোনো কিছুকেই বিস্মৃতি হতে দিচ্ছেন না; যেমন- বাউল গান, গম্ভীরা, বেহুলার পালা, পৌরাণিক কাহিনি নিয়ে নাটক, সাপ খেলা- এরকম অনেক কিছুই। বাচ্চাদের জন্যও থাকে শিশু সাহিত্যের মজার মজার সেশন। তাই এমনটা বলার কোনো সুযোগ নেই যে, লিট ফেস্টে বাংলা সাহিত্য আর সংস্কৃতি তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না।
এখন ইংরেজি একটু প্রাধান্য পাচ্ছে কারণ এখানে আন্তর্জাতিক লেখকরা আসছেন যারা মূলত ইংরেজিতে লেখেন এবং তাদের সাথে ইংরেজিতেই যোগাযোগ করতে হয়। আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি কেমন তা তাদের ইংরেজিতেই বুঝিয়ে দিতে হয়। তবে আনন্দের খবর এটা যে, এবার থেকে অনুবাদক রাখা হবে যারা ইংরেজি আলোচনা বাংলায় তর্জমা করবেন আবার বাংলা আলোচনা ইংরেজিতে।

যতদিন যাচ্ছে তত বেশি উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বাংলাদেশি সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করার। কোন দেশের সাহিত্য কতটা গুরুত্ব পাবে তা খুব বেশি নির্ভর করে সে দেশের অর্থনীতির ওপর। এখনতো আমরা অর্থনৈতিক দিক দিয়েও উন্নত হচ্ছি, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে তাই এদেশি সাহিত্যের প্রতিও আগ্রহ বাড়বে বৈশ্বিক পাঠকদের। আর এ জন্য ঢাকা লিট ফেস্ট একটা বিশেষ জরুরি মাধ্যম, যা প্রতি বছর আরও নতুন চমক নিয়ে আসছে। হে ফেস্টিভাল নাম বদলে ঢাকা লিট ফেস্ট করা হয়েছে।

এবার ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় সাহিত্যিক নোবেলজয়ী ভি. এস. নাইপল আসছেন। যার লেখার খুব বড় ভক্ত আমি নিজেই। তার একই লেখা বারবার পড়তে ভালো লাগে আমার। এবার নাইপলের সঙ্গে সামনাসামনি কথা হবে। দেশে নিশ্চয়ই আমার মতো অনেক নাইপলভক্ত আছেন। এটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের খবর। নাইপল আগে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো ঘুরে গেছেন, মুসলিমদের নিয়ে লিখেছেন যা নিয়ে অনেক কন্ট্রোভার্সি আছে। কিন্তু সেখানে বাংলাদেশ নিয়ে কিছু বলেননি বা বাংলাদেশে কখনো আসেননি। দেখা যাক এবার কি হয়।

কায়সার হক : কবি ও অনুবাদক      


শ্রুতিলিখন ইয়াসমিন ইতি

আরো পড়ুন-
অনুবাদের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত : আসাদ চৌধুরী