পুরস্কার লেখককে অনুপ্রাণিত করে : মুহাম্মদ সামাদ

কবিতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২০ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন কবি মুহাম্মদ সামাদ। আজ বিকেলে পুরস্কার ঘোষণা হওয়ার পর তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন। 

 

পুরস্কারের জন্য কেউ লেখে না। পুরস্কার একজন লেখককে আনন্দিত ও অনুপ্রাণিত করে। তেমনি আমিও আনন্দিত হয়েছি এবং ভালোও লাগছে। একজন লেখকের স্বজন থাকে, পাঠক থাকে—পুরস্কার পেলে তারাও আনন্দিত হয়। সাহিত্যের পাঠক পুরস্কারপ্রাপ্তকে সম্মান দেয়, সমাজ মর্যাদা দেয়। এগুলোই প্রধান।

প্রগতিশীল লেখকদের এখন সম্মানিত করা হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার রয়েছে বলেই তা সম্ভব হচ্ছে।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক আমাদের অগ্রজ কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীসহ বিচারকমণ্ডলী যারা আমাকে নির্বাচন করেছেন বা মনোনীত করেছেন, সম্মানিত করেছেন তাদের আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।

এই পুরস্কার পেতে আমার দেরি হলো কিনা—এই প্রশ্নের জবাবে আমি বলবো, এ নিয়ে আমার কোনো আক্ষেপ নেই; তারা যখন দেওয়ার উপযুক্ত মনে করেছেন, দিয়েছে। তবে বয়সের বিচার করে পুরস্কার দেওয়া ঠিক না, পুরস্কার দেওয়া উচিত লেখার বিচার করে। যে যে-ক্ষেত্রে পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য তাকে সে-ক্ষেত্রে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, বয়স বিচার ইমপরটেন্ট নয়।

আমাদের এখানে পুরস্কার দেওয়ার চেয়ে পুরস্কার নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। এই রীতি পুরস্কারের মূল্যবোধ ক্ষুণ্ন করে। যা পুরস্কারের অসুন্দর দিক, অনৈতিক দিক।