নতুন দিনের আশা

দেশ ও দেশের সাহিত্য নিয়ে আমার গত বছরের অভিজ্ঞতা বেশ ভালোই। সবার লেখা যতখানি পড়া সম্ভব হয়েছে সেই আলোকে এই কথা বলতে পারি যে, দেশের তরুণ ও প্রবীণ লেখকেরা যার যার নিজস্ব চিন্তাধারা থেকেই ভালো কিছু লিখছেন। কবিতা ও কথাসাহিত্যে নতুনরা নিজস্ব শৈলী সৃষ্টি করতে পেরেছেন এটাই আশার কথা। নতুন বছর নিয়ে আমার প্রত্যাশা তরুণদের নিয়েই, তারা যেন তাদের সাহিত্য নিয়ে অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত ও প্রাণবান থাকতে পারে। কারণ তারাই ভবিষ্যতের নির্মাতা।

এছাড়াও আমি আশা করব আমাদের সরকার এমনভাবে দেশ পরিচালনা করবেন যাতে আমাদের শিল্প-সংস্কৃতি ও ইতিহাস চর্চার দিকটা যেন ঠিক থাকে।

আমি নিজেও যেন আমার সকল কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করতে পারি। আমি টাঙ্গুয়ার হাওরকে পটভূমি করে একটি উপন্যাস লিখছি। লেখাটা প্রায় শেষ করে এনেছি, এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩০ পৃষ্ঠার মতো লিখেছি। আর অল্প কিছু লেখা বাকি আছে। প্রকাশক উপন্যাসটি প্রকাশের জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন।

এই উপন্যাসটি লিখতে লিখতে আমি পরের উপন্যাস নিয়েও ভেবেছি। এটা শেষ হলেই পরের লেখাটা শুরু করব। লেখাটার বিষয়, পাখি। পাখিদের প্রেম। ওরা কী করছে, কোথায় উড়ে বেড়াচ্ছে এইসব। পাখিদের জগত কিন্তু অদ্ভুত। আমরা কেবল মানুষকেই ফোকাস করি, মানুষই সবসময় থাকে উপন্যাসের কেন্দ্রে; এর বাইরে গিয়েও কাজ করতে চাই।

অসুখ-বিসুখ বা জীবনে নানান ঘাত-প্রতিঘাত আছে তাতে আমি কখনও স্তমিত হয়ে পড়িনি। আমি সবসময় সচল থেকেছি, আছি। আমি কাজ না-করার জায়গায় চলে যাইনি, গুরুতর অসুস্থ হয়নি, ফলে আমি সচল আছি, আমার কলম সচল আছে। এটাই বেঁচে থাকার সার্থকতা।

শ্রুতিলিখন : ইমন