প্রায় সবই নষ্টদের অধিকারে চলে গিয়েছে : পাপড়ি রহমান

প্রশ্ন: প্রতি বছর ‘নিষেধাজ্ঞা’, ‘ভাইরাল’ এর মতো বিষয়গুলোর জন্য বইমেলা তার মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে যাচ্ছে বলে মনে করেন?
পাপড়ি রহমান: হ্যাঁ অবশ্যই। কে কাকে বিয়ে করলো এসব নিয়ে বইমেলায় মাথাব্যথা থাকার কথা নয়। তবে এটাও সত্য অন্ধ করিলেও প্রলয় থাকিবে না বন্ধ।

প্রশ্ন: বইমেলায় এবড়োখেবড়ো মাঠ, স্টল খোঁজার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা না থাকা, ধুলোবালি এমনকি মুক্তমঞ্চে গাঁজা সেবনে মতো অভিযোগগুলো নিয়ে কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেন?  এসব দায়িত্ব কার বা অবহেলা করছে কারা?
উত্তর: এসব দেখবে কেন কেউ? সবাই তো আছে নিজের ধান্ধায়। আর কেউ সেভাবে প্রতিবাদও করছে না। বেশিরভাগই নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত।

প্রশ্ন: পাঠকের চেয়ে দর্শনার্থী বেশি, বই বিক্রি হয় না— এসব কথা শোনা যাচ্ছে প্রকাশনা সংস্থাগুলো থেকে। এমনটা কেন হচ্ছে?
উত্তর: বই যদি বিক্রিই না হবে প্রকাশনা ব্যবসায় এতো লোক আসছে কেন? দিনকে দিন নতুন নতুন প্রকশনার খবর কেন পাচ্ছি? তবে এটা সত্য ক্রেতার চাইতে হাওয়া খেতে আসা লোকেরা সংখ্যায় বেশি।

প্রশ্ন: শুনছি আগামীবছর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলা হবে না, এক্ষেত্রে স্থান বিবেচনায় বইমেলা আদৌ তার ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারবে?
উত্তর: উদ্যানে হবে না, তাহলে কোথায় হবে? বাংলা একাডেমির কাছাকাছি থেকে সরিয়ে নিলে তাকে বইমেলা না বলে বাণিজ্যমেলা বললেই ভালো হবে।

প্রশ্ন: বইমেলার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে একটি সুন্দর বইমেলার আয়োজন করতে?
উত্তর: আমি বরাবর বলে আসছি বইমেলায় অন্তত দশটাকার টিকিট ব্যবস্থা করতে। প্রকাশিত বইয়ের মান যাচাই করে প্রকাশকদের স্টল বরাদ্দ দেয়া হোক। যারা মেলায় ঢুকবে তারা যেন অবশ্যই একটি বই হলেও কেনে— কেনার ক্যাশমেমো জমা দিয়ে মেলা থেকে বেরোতে হবে। ভালো বই ও ভালো লেখকদের প্রমোট করতে হবে। ‘মূলমঞ্চ’ ও ‘লেখক বলছি’ মঞ্চে ইদানীং যাঁদের ডাকা হচ্ছে, তাঁদের অনেকেই ওসব স্থানে যাওয়ার মতো যোগ্য নয়। কী করা? প্রায় সবই নষ্টদের অধিকারে চলে গিয়েছে।