যেভাবে লেখা হলো ‘তাঁবুকাব্য’

nonameবলা যায় ‘তাঁবুকাব্য’ একটি থিমেটিক কবিতার বই। বারোতম কবিতার বইতে একটু ভিন্ন রকম নিরীক্ষায় মেতেছিলাম! তাঁবু ও জঙ্গলের নানা অনুষঙ্গের ইমেজ ও অ্যালিগরি নিয়ে লিখতে চেয়েছি বইটি। “জঙ্গলের গহিন ভিতরে একটা তাঁবুর জন্যে অপেক্ষা করছে আমাদের প্রেম” বা “এ জঙ্গলেই আমি লিখে যাচ্ছি দ্যাখো ধূলিতে মোড়ানো প্রেমগাথা, রক্তের হরফে লেখা ভাঁজপত্র আর ছড়ানো পথের নোটবুক” বা “তাঁবুর ভেতর শুয়ে যেন ফিরে পাই সেই হারানো অক্ষর—শব্দ স্বরগ্রাম” এরকম আরও অদ্ভুত আর ঘোরলাগা পঙক্তির ঠাসবুনটে গাঁথা রয়েছে এ বইটি! ‘তাঁবুকাব্য’র শব্দঅভিধা ও কাব্যপ্রতিবেশে উঠে এসেছে   বহুমাত্রিক ও বহুরৈখিক অনুষঙ্গের যা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের এক অভিনব যোগসূত্র স্থাপন করে! তাইতো এ বইটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ময়ূরীর মনোলগ, হাওয়া ও হরিদ্রা, ছায়া ও ছাতিমতলা, দোয়েলের সেরেনাদ, দরবার-ই-কানাড়া,  কোটরের টিয়াগান, পাতা ও পতঙ্গের সুর, বনদেবীর ছন্দময় নিতম্বের রেখা, কমলা রঙের আভা ছড়ানো ফ্লেমিঙ্গো পাখির ঝাঁক, টিনশেড শেফালি অপেরা, নর্তকের ক্যাশবাক্স, দূরের মাদল সুর, হিজলের রক্তাভ কোরক, ঝাড়বাতিঅলা নাচঘর, পিয়ানোর ঘুমসুর, অরণ্যের নোটবুক, জেব্রার গ্রীবার ছাপ, ঘুমঘোর সরোবর, নাবিক ও গণিকা, সমুদ্র ও সরাইখানা—এমনি আরও অসংখ্য নাক্ষত্রিক শব্দঅভিধা, ইমেজ ও অ্যালিগরির দ্যোতনা! ‘তাঁবুকাব্য’ বইটিতে পাঠক পাঠক পৌঁছে যাবেন আরণ্যিক চিত্রকল্পের এক কুহকলাগা ভুবনে—সম্মোহিত হবেন চিত্রকল্পের জ্যোতির্ময় আলোকছটায়—‘তাঁবুকাব্য’ বইটি খুলে দেবে একটার পর একটা ইন্দ্রিয়সমূহের দরজা!

তাঁবুকাব্য/ লেখক: তুষার কবির/ প্রকাশক: অগ্রদূত অ্যান্ড কোম্পানি/ প্রচ্ছদ: নির্ঝর নৈঃশব্দ্য/ মূল্য: ১৩৫ টাকা