নোবেল পুরস্কার ঘোষণা শুরু হলে লেখক, পাঠক, প্রকাশক, সাধারণ মানুষ সবারই চোখ থাকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের দিকে। এর পরের আগ্রহ থাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার নিয়ে। এই দুটো পুরস্কার যথারীতি বিতর্কেরও জন্ম দেয়। এত মানুষের প্রিয় লেখক যে কতজন, বা শান্তিবাদী নেতা যে কতজন, তা বেশুমার। তাই পুরস্কার ঘোঘণার পর শুরু হয় হতাশা, কারো মনে আনন্দ, কেউ বা আয়োজন করে নিন্দা করতে বসেন। আপাতত শান্তি-পুরস্কারের কথা না ভেবে সাহিত্য নিয়েই একটু অনুমান করা যাক।
যাক শিবের গীত না গাই। অন্যান্য পুরস্কারের ক্ষেত্রে শর্ট লিস্ট থাকে। কিন্তু নোবেল পুরস্কারের ক্ষেত্রে থাকে না। ফলে নানান হিসাব কশতে হবে আপনাকে। বলা হয় ব্রিটিশ জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠান ল্যাডব্রক্স দশ বছর ধরে তাদের অনুমানকে প্রায় পঞ্চাশ ভাগ সত্যে পরিণত করেছে। মজার কথা হলো, বাজির পেছনের কুশিলবরা কিন্তু সত্যিকারের লেখকের গুণাবলী সম্পর্কে তেমন কিছু না।
বেশ কয়েক বছর ধরে জাপানী লেখক হারুকি মুরাকামির নাম আলোচনায় আসছে। সিরিয় কবি এডোনিসের ভক্তরা এত দিনে নিশ্চয়ই ক্লান্ত হয়ে গেছেন। তবে এবারে গুঞ্জন উঠেছে কেনিয়ার কথাসাহিত্যিক নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গোকে নিয়ে। নগুগিকে দিলে চিনুয়া আচেবেকে না-দেয়ার পাপের কিছুটা হলেও স্খলন হবে। চেক কথাসাহিত্যিক মিলান কুন্ডেরাও আছেন জীবিত।
বিভিন্ন সাইট ঘেটে একটা ধারণা করা যায় দুই জনকে নিয়ে। এক. মুরাকামি দুই. নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গো পাচ্ছেন সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার। তবে এডোনিস বা মিলান কুন্ডেরা পেলেও কেউ অবাক হবেন না।
এছাড়াও লাইনে আছেন- আমেরিকার কথাসাহিত্যিক ফিলিপ রথ, আমেরকিার কথাসাহিত্যিক জয়েস ক্যারল ওটস, আলবেনিয়ার লেখক ইসমাইল কাদারে, স্প্যানিস ঔপন্যাসিক হাভিয়ার মারিয়াস, নরওয়ের নাট্যকার জন ফসে, দক্ষিণ কোরিয়ার কবি কো উন, আইরিশ ঔপন্যাসিক জন বানভিল প্রমুখ।
প্রিয় পাঠক, হয়ত দেখা যাবে যাদের নাম উল্লেখ করা হলো তাদের কানের কাছ দিয়েও গুলিটা গেল না। এমন কেউ পেলেন যে তার কথা আমরা ভাবিওনি, বা চেনাও নন। তবে নোবেল নিয়ে ‘ডিলান কাণ্ড’ হোক, মজাটা জমবে ভালো।