অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা

হে আনন্দের সন্তানেরা

noname

বেঁচে থাকাই আনন্দের—ফুলের সুবাস নেয়া যায়, পাখি দেখা যায়

সবুজ বনের ভেতর টিয়ার ডাক শোনা যায়,

ঘুম থেকে উঠে পাউরুটি
আর জ্যাম-জেলি নিয়ে রুটিন শুরু করা যায়।
বেঁচে থাকাই আনন্দের, উইন্ডো শপিং শেষে ইনস্টা নামের শহরে
শো-কেসিংয়ের সুখ নিয়ে সার্ফিং করা যায়।

আর ওয়েব-সিরিজের মেয়েগুলো কী দারুণ খোলামেলা হয়ে উঠছে

এই যে বহুগামিতার দোকানে রাজকন্যারা রঙিন হয়েছে,

তাদের আমার ভালো লাগে
জীবন বড়ই আনন্দের, ব্রাদার।


জীবন বড়ই আনন্দের, প্রিয়তমা

ইউ শপ দেয়ারফোর ইউ আর।
লিপস্টিক চকলেট কিনতে কিনতে কিনছ গাছ-নদী-মাছ।
এই নলা-পাঙ্গাস কিনতে কিনতে কিনছ যমুনার তলদেশ থেকে
মেরে আনা বাঘাইর। বাঘাইর খেতে খেতে খাও টুনা-স্যামন।

মাছ কিনতে কিনতে শিখে গ্যাছো কীভাবে নদী কেনা যায়।

অবলীলায় মেঘনা খেতে খেতে ঘোড়াউত্রা খেয়েছে,

দূরতম ঘোড়াউত্রার বিল থেকে খেয়েছ পোড়াবিন্নি ধানের ল্যান্ডস্কেপ।

সবুজ বন খেতে খেতে খেয়েছ বনরুই,

পাকড়া ধনেশের ডানা মেলার সুখ।

খাওয়া বড়ই আনন্দের, প্রিয়তমা

খাওয়ার ভেতর থাকা আনন্দের। খেতে চায় তোমার প্রেমিকরাও।
ওদের নুনুগুলো ইটভাটার চিমনির মতো ইনবক্সে ধোঁয়া ছাড়তে চায়।

এত খাওয়া-খাওয়ির ভেতরে, আমি এক বিষণ্ন বনরুই,
কুঁকড়ে আছি।