ছুটি কিংবা একটি নিতান্তই সাদামাটা গল্প

করোনায় আমরা ভীত নই। বরং মোকাবেলা করছি গৃহে অন্তরীণ থেকে। এতে হয়ত কিছুটা বাড়তেও পারে মানসিক চাপ। তাই আসুন, খুলে দেই মনঘরের জানালা। নিজেকে চালিত করি সৃজনশীলতায়। আপনি নিয়মিত লিখছেন, বা এটাই হতে পারে আপনার প্রথম গল্প। লিখুন ফেসবুকে। চটজলদি ৫০০ শব্দের গল্প, বাংলা ট্রিবিউনের জন্য। একইসঙ্গে নমিনেট করুন আপনার পছন্দের আরও ১০ জন লেখককে। সেরা ১০ জন লেখক পাচ্ছেন কাগজ প্রকাশনের বই। আর অবশ্যই হ্যাশট্যাগ দিন #বাংলাট্রিবিউনসাহিত্যnoname—বুঝলেন খালাম্মা, অনেক মানুষরে শুনি ঘরে থাকতে থাকতে বোর হয়ে গেছে, এইসব মানুষ মনে হয় ঘরে কাজ করে না। আমরা তো তিনবেলা রান্না, ঘর ঝাড়ু, কাপড় ধোয়া, ঘর মোছা এই সব করতে করতে বসার টাইমও পাই না। আবার বাচ্চার সুজি, খিচুড়ি এইসব আলাদা রান্না করতে হয়। শাশুড়ির জন্য আলাদা তার পছন্দমতো রান্না করতে হয়। শ্বশুরের ডায়াবেটিস, তারে টাইম করে করে খাবার দিতে হয়, ছোট ছেলেটা এইবার এইটা নষ্ট করে একবার ওইটা নষ্ট করে, কাজের বুয়াটা নাই, কয়দিক সামলানো যায় বলেন?

—হুম, মেয়ে মানুষের জীবন খাটতে খাটতেই শেষ। আবার নামও নাই এসব কাজের। তাও তো এখন অফিস ছুটি। আগে ঘরে বাইরে দুই জায়গায় খাটতা। এখন খালি ঘরে। একটু রিলিভ পাইছ।

—কী যে বলেন খালা, অফিস ছুটি হয়েই তো মরছি। ছুটি তো আমার সাহেবেরও। সারাদিন তার এই অর্ডার ওই অর্ডার। পিয়নগিরি করতে করতে জান শেষ। একটা কিছু করে না। একটু পরে পরে চা-নাস্তা...পানিটা পর্যন্ত ঢাইলা খায় না জানেন? এমন লোকের ঘর করি...

—সাথে সাথে করতে বলবা। মিলেমিশে সবাই করলে তো একা একজনের ওপর চাপ পড়ে না। এখন তো ঘরের কাজ টুকটাক অনেক পুরুষই করে।

—সবার কপালে কি সুখ হয় খালা? সারাটাদিন যে খাটি একটাবার একটাজনে জিজ্ঞেসও তো করব না খাইছি কিনা খাইছি। শ্বশুরবাড়ির সুখ কয় মেয়ের কপালে জোটে খালা? যাই আবার শাশুড়ি খুঁজবে। দেরি হলে বলবে ছাদে এতক্ষণ কী...? এই কাপড়গুলা নিয়া যে রাখব কেউ গুছাবেও তো না...। বললে তো আবার দোষ, ননদটা সারাদিন মোবাইল, ল্যাপটপ এই নিয়া আছে। কেউ কোনো কাজ ধরবে না। যাই খালা, যাইয়েন আমাদের বাসা... একটু বুঝায়েন সবাইরে। আপনার কথা আবার শোনে সবাই...

—আচ্ছা যাবনে,...ফি আমানিল্লাহ্...