অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা

বাতাসের ঘর

45

কীভাবে যে দিন যায় রাত্রি চলে আসে,

আতঙ্ক কবলিত ভীত ক্যানভাসে।

 

সন্দেহ অধ্যুষিত চম্পক নগরে,

সর্বনাশ হানা দেয় বাতাসের ঘরে।

 

মৃত্যুদূত-হেডিসের পাতাল পুরীতে,

গিয়েছে প্রয়াতদের সংবাদ দিতে।

 

অদৃশ্য অণুজীব মেডুসা কি ফের—

জন্ম নিয়ে ছিঁড়ে খাবে কণ্ঠ জোসেফের?

 

অভিধান ছিন্ন ক’রে আশা গেছে চাঁদে,

নির্মম মৃত্যু দেখে গ্রন্থেরা কাঁদে।

 

শবযাত্রার গাড়ি নৈঃশব্দ কাঁধে,

বধ্যভূমিতে গেলে অশ্রু বাদ সাধে।

 

ভবিষ্যৎ-অবরুদ্ধ প্রার্থনাগার,

কে কোথায় অস্ত যাবে ইচ্ছা ব্রহ্মার।

 

ন্যুয়র্ক প্যারিস রোম পিকিং হ্যানয়,

স্বেচ্ছা নির্বাসনে কেউ কারো নয়।

 

বিজ্ঞান ব্যর্থ হলে কে কাকে বাঁচায়,

বাড়ির বিমান ভেঙে পায়ে হাঁটতে চায়।

 

আঙুলে আকাশ পেলে অন্য দাবি নেই,

করোনা উড়িয়ে নেবে কালবোশোখেই।