সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মোমবাতি প্রজ্বলন

‘সাম্প্রদায়িকতা নিপাত যাক, বাংলাদেশ মুক্তি পাক’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার প্রতিবাদে (সোমবার) ১৪ নভেম্বর মোমবাতি প্রজ্বলনসহ মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে গণস্বাস্থ্য মেডিক্যাল কলেজ ইউনিটের সনাতন বিদ্যার্থী পরিষদ এবং গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বৃন্ত।

সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মোমবাতি প্রজ্বলন

সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে এই মোমবাতি প্রজ্বলন এবং মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বৃন্তের প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল ইসলাম, সহ-সভাপতি নাইম জোয়ার্দার এবং সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ প্রিন্স, সনাতন বিদ্যার্থী পরিষদের সভাপতি প্রভাত কুমার মণ্ডল, নির্ঝর মণ্ডলসহ অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে হামলাকারীদের দ্রুত সনাক্ত ও গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির ও ঘরবাড়ি পুনরায় নির্মাণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কালের কণ্ঠ শুভসংঘ ইউনিটের সভাপতি রানা মিত্র প্রতিবাদ কর্মসূচীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন ‘১৯৭১ সালে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। রামুসহ অন্যান্য ঘটনার বিচার না হওয়ায় বারবার এ ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটছে।’ এভাবে চললে সোনার বাংলা গঠনের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মানববন্ধনে উপস্থিত বৃন্তের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজমুল ইসলাম তার বক্তব্যে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন ‘হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নয়, বাঙালি হিসেবে দেশ আমার আপনার সবার।’ সাম্প্রদায়িকতার বর্বরতায় যেন কোনও বাঙালি দেশ ছাড়া না হয় এদিকে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
/এনএ/