মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেন, ‘মুক্তিসংগ্রামের চেতনাবোধ এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে যাবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পর অতিথিরা ক্যাফেটেরিয়ায় মুক্তিসংগ্রামের আর্ট ক্যাম্প ও স্মারক প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।
সভায় ডা. দীপু মনি বলেন, ‘২৫ মার্চের গণহত্যা ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা। কিন্তু এটি সারা বিশ্বে সেভাবে পরিচিতি পায়নি। কারণ ৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে যে সামরিক শাসন এসেছে, তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ধারায় পরিচালিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে গণহত্যার ইতিহাস বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা হয়নি। বরং ইতিহাস বিকৃত করে পাকিস্তানের দোসরদের ক্ষমতায় বসানো হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘শীঘ্রই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবো বলে আমরা আশাবাদী। এর মধ্য দিয়ে আমরা গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারীদের বিচারের পথ সুগম করতে পারবো।’
আলোচনা সভা শেষে নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন (মরনোত্তর), অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী (মরনোত্তর), সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক (মরনোত্তর), জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি (বীর প্রতীক), সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদসহ ১৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
/এমডিপি/