নাট্যোৎসবের দ্বিতীয় দিনে সম্মাননা পেলেন ছয় বিশিষ্ট ব্যক্তি

ju photo 26.03.17 (shimin hossain rimi)২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী মুক্তিসংগ্রাম নাট্যোৎসবের দ্বিতীয় দিনে ছয় জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। রবিবার রাত পৌনে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে উৎসবের সভাপতি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম এসব সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

দ্বিতীয় দিনে সাহিত্যে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামুসল হক (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায়য় মুস্তাফা নূরউল ইসলাম ও ড. হায়াৎ মামুদ, নারী নেতৃত্বে সিমিন হোসেন রিমি এমপি, ভাস্কর্য শিল্পে জাহানারা পারভীন এবং মুক্তিযুদ্ধ গবেষণায় মেজর (অব.) শামসুল আরেফিনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সৈয়দ শামসুল হকের পরিবারের পক্ষে তার সহধর্মিনী কথাসাহিত্যিক সৈয়দ আনোয়ারা হক সম্মাননা স্মারকটি গ্রহণ করেন।

এর আগে বিকেল ৩টায় সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চের পাশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উৎসবের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। ৩০ লাখ শহীদের সম্মানে ৩০ লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মুখপাত্র শাহরিয়ার কবির ও প্রজন্ম ৭১ এর কেন্দ্রীয় নেতারা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।

স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে সিমিন হোসেন রিমি বলেন, ‘অনেক কষ্টে পাওয়া আমাদের এই স্বাধীনতা। যা বাঙালির দীর্ঘ লড়াই, সংগ্রাম ও বঞ্চনার মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার অর্থ সোনায় মোড়ানো বাংলা নয়।  সোনার বাংলা মানে একটি পরিপূর্ণ বাংলাদেশ। যেখানে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, জীবিকার অভাব থাকবে না।’

তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘ইতিহাসের বুঁনিয়াদ নিজের কাছে অজানা থাকলে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়নো যায় না।’ 

কথা সাহিত্যিক সৈয়দ আনোয়ারা হক বলেন, ‘মুক্তি শব্দটির ব্যাপকতা অনেক বেশি। স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত মুক্তিই শেষ নয়। ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে এখনও মুক্তি অর্জিত হয়নি। মুক্তি সংগ্রাম চলেছে, চলছে, চলবে।’ 

এরপর রাত ৮টায় জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শেষ হয়।

/এমডিপি/