‘অসততার’অভিযোগে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষককে অপসারণ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ভর্তির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরিতে অসততা, পারস্পারিক সমন্বয়হীনতা, দায়িত্বে অবহেলা ও উদাসীনতার জন্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়য়ের (জাককানবি) ৭ শিক্ষককে ভর্তি পরীক্ষা কমিটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৮তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য সচিব ড. হুমাইয়ুন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন, ‘ক’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক মাহবুব হোসেন, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক বিজয় ভূষণ দাস, অধ্যাপক মো.ইমদাদুল হুদা, সহকারী অধ্যাপক রায়হানা আক্তার এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক মো.সাহাবউদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক ড. মো.হাবিব-উল-মাওলা, সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে ২০১৫-১৬ সেশনে অনুষ্ঠিত ‘ক’ ইউনিট ইংরেজি বিষয়ের ৪৯টি প্রশ্নে হুবহু মিল থাকায় ব্যাপক সমালোচনা হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিতে ট্রেজারার প্রফেসর ড. এএমএম শামসুর রহমানকে আহ্বায়ক এবং রেজিস্ট্রার আমিনুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড.মোহীত উল আলম।বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তদন্ত কমিটির সুপারিশক্রমে সিন্ডিকেট সভায় অভিযুক্তদের সতর্ক করে কেবল ভর্তি পরীক্ষায় উপরোক্ত কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীকে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী ৪ (চার) বছর পর্যন্ত এবং অন্যান্য সদস্যদের ৩ (তিন) বছরের জন্য প্রশ্নপত্র প্রণয়নসহ ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

ড. হুমাইয়ুন কবীর বলেন, ‘৫ আগস্ট (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকাস্থ লিয়াজো অফিসে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের একটি সভা হয়। সভায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রশ্নপত্র প্রস্তুতে অসততা প্রমাণিত হয়েছে। তাই ওই ৭ শিক্ষককে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হযেছে।’

/এমডিপি/এসটি