সোমবার (৬ নভেম্বর) শহর এলাকার মেসে অবস্থানরত নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস আসতে না পারায় অধিকাংশ বিভাগের ক্লাস বন্ধ রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়মিত বাস চলাচল করলেও শিক্ষার্থীদের তেমন উপস্থিতি চোখে পড়েনি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের টংয়ের দোকানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যায় কথা কাটাকাটির জের ধরে স্থানীয় রুমেল ও তুষারের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এরফানকে পিটিয়ে জখম করে। এ খবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় রুমেলের এবং বাংলা বাজারের তুষারের বাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনার জের ধরে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। এসময় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় দুই ছাত্রীসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এরপর বহিরাগতদের হামলায় জেড মোড় নামক এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থালে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে ৩ নভেম্বর তুষার নামের এক বহিরাগত কয়েকজন ভর্তিচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের র্যাগ দিলে এরফানসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করে। এর জের ধরে রুমেল ও তুষারের নেতৃত্বে কয়েকজন স্থানীয় এরফানকে পিটিয়ে জখম করে।