বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বন্ধ রাখা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি গেট ও একাডেমিক ভবন-২ সংলগ্ন বাশেরহাট গেট। গত তিন বছরে এই দুই গেট আর খোলেনি বলে জানান শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ওরিয়েন্টেশনের মতো বড় অনুষ্ঠানগুলোতেও বন্ধ ছিল গেট দু’টি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এখনও বন্ধ রয়েছে গেট দু’টি।
শুধু তাই নয়, ভেটেরিনারি গেট বন্ধ থাকায় এবং পর্যাপ্ত আলোর অভাবে ওই গেটের আশপাশের এলাকা মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। প্রায়ই ওই এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে বলেও জানা গেছে শিক্ষার্থীদের কাছে।
অন্যদিকে, একাডেমিক ভবন ২ সংলগ্ন গেটটি দিয়ে মূলত শেখ রাসেল হল ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করেন। কিন্তু গেটটি বন্ধ থাকায় তাদের গেটের পাশের ছোট একটি পকেট গেট গিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
হাবিপ্রবি তাজউদ্দীন আহমেদ হলের শিক্ষার্থী রুবেল আহমেদ রাজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গেট বন্ধ থাকায় খাওয়া ও অন্যান্য কাজের জন্য অনেক সময় নষ্ট হয়। গেট খোলা থাকলে শহরসহ অন্যান্য স্থানে যাতায়াত সহজ হতো।’
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী সাদিকুর রহমান বলেন, ‘গেটগুলো বন্ধ থাকায় এর আশপাশ অপরিষ্কার থাকে। এতে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যও নষ্ট হচ্ছে।’
ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী সাদেক বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সব থেকে ভালো এবং সবচেয়ে সুন্দর গেট হলো ভেটেরিনারি গেট। এটা বন্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। হঠাৎ খুব ক্ষুধা লাগলে খাওয়ার জন্য ঘুরে অনেকটা পথ যেতে হয়। আমাদের টাইট শিডিউল ক্লাসের ফাঁকে সেটা সম্ভব হয় না।’
গেট দুটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. মো. খালেদ হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ক্যাম্পাসে চাহিদার তুলনায় আনসার সদস্য কম। ফলে নিরাপত্তার বিষয় চিন্তা করে আপাতত ফটক দু’টি বন্ধ রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত আনসার নিয়োগ দেওয়া হলে ফটক দু’টি আবার চালু করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগামী একাডেমিক কাউন্সিল সভায় গেট দু’টির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’