বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ হোসেন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
এবার গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের বিজয়ীরা হলেন- সহ-সভাপতি পদে কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী শাহানারা আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ পদে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসলাম আলী ও যুগ্ম সম্পাদক পদে ফার্ম স্ট্রাকচার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. মো. রায়হানুল ইসলাম এবং সদস্য পদে অধ্যাপক ড. মোবারক আকতার, মো. ইয়াহিয়া খন্দকার, অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন, অধ্যাপক ড. গোপাল দাস ও অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন।
এবছর শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে ৪২৮ জন শিক্ষক ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফ ও অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ।
এদিকে, শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সোনালী দল। বুধবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন সোনলী দলের শিক্ষকরা।
তাদের অভিযোগ, ব্যালট পেপারে কিউআর কোড ও সিরিয়াল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে, যা নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া বিগত নির্বাচনে কোনও সময়ই ব্যালটে এসব ব্যবহার করা হয়নি।
এ ব্যাপারে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল আলম বলেন, ‘সিরিয়াল নম্বরের বিষয়ে আমরা কিছু জানতাম না।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘কতগুলো ভোট প্রয়োগ হয়েছে তা জানার জন্য সিরিয়াল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। আর কিউআর কোডে শুধু বিএইউটিএ ইলেকশন-২০১৮, জানুয়ারি-১৭ লেখা ছিল। ব্যালটে কে কাকে ভোট দিয়েছে তা জানার কোনও উপায় নেই। দ্রুত ব্যালট নষ্ট করে দেওয়া হবে।