পথচিত্রে গণহত্যা দিবস স্মরণ ইউডা’র

শিল্পীর তুলিতে ২৫ মার্চের কালরাতপথচিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে গণহত্যা দিবস স্মরণ করলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনির্ভাসিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা)। রবিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে কুরআন তেলওয়াত ও মোনাজাতের পর রাতব্যাপী পথচিত্র অঙ্কনের অনুষ্ঠান শুরু হয়।
রাজধানীর রাজপথে ২৫ মার্চের গণহত্যার নৃশংসতার চিত্রসমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং শিল্পী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক সমরজিৎ রায় চৌধুরী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ সময় তারা বলেন, স্কুল অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (সোডা), কলেজ অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (কোডা) ও ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা) গত প্রায় এক যুগ ধরে গণহত্যা দিবসকে স্মরণ করতে ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজন করে আসছে। নিঃসন্দেহে এটি প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ।
২৫ মার্চ কালরাতের নৃশংসতার চিত্র ফুটে উঠেছে শিল্পিীর তুলিতেসমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘২৫ মার্চের গণহত্যা ছিল পৈশাচিকতার এক ভয়াবহ উদাহরণ। এই গণহত্যা ছিল পাকিস্তান সরকারের চূড়ান্ত বিশ্বাসঘাতকতার বহিঃপ্রকাশ। এই দিবসকে কেবল নিজেরা পালন করলেই হবে না, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই দিবসটি পালন করার ব্যবস্থা নিতে হবে।’
মানিক মিয়া এভিনিউতে গণহত্যা দিবস স্মরণে পথচিত্রাঙ্গনশিল্পী ও অধ্যাপক সমরজিৎ রায় চৌধুরী বলেন, ‘এই দিনের পাশবিকতা আমি প্রত্যক্ষ করেছি। আগুন নিয়ে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া, বোমা-বারুদ দিয়ে জ্বালানো-পোড়ানো হচ্ছে— সব দেখেছি। হানাদার বাহিনী ভেবেছিল— এই হত্যার মধ্য দিয়ে তারা বাংলাদেশি মানুষকে নিবৃত্ত করতে পারবে। কিন্তু তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে এ দেশের মানুষ। গণমানুষের এই রক্তের প্রতিদান আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ। আমাদের উচিত তাদের আত্মত্যাগ স্মরণ করা।’
২৫ মার্চের গণহত্যার নৃশংসতার চিত্র রাজধানীর রাজপথেঅনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পী আব্দুল মান্নান, ১৯৯৪ সালে দীর্ঘ পথচিত্রাঙ্কনে গিনেজ বুক অব রেকর্ডসে স্থান পাওয়া একমাত্র বাংলাদেশি শিল্পী রুহুল আমিন কাজল এবং ইউডার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুজিব খানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক ইয়াহিয়া খানের প্রতিকৃতিবিগত প্রায় দুই দশক ধরে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন করে আসছে ‘সিফাদ ফাউন্ডেশন’ ও এর বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান (ইউডা, কোডা, সোডা)। দলমত নির্বিশেষে ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, বিভিন্ন পেশাজীবী, রাজনৈতিক নেতা, মুক্তিযোদ্ধা, চলচ্চিত্র, টিভি ও নাট্যব্যক্তিত্ব, দেশ বরেণ্য চিত্রশিল্পী, সংগীত শিল্পীসহ সমাজের সব স্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এই কর্মসূচিগুলো হয়ে উঠেছে সার্বজনীন।
আরও পড়ুন-
লাল-সবুজে রাজধানী
‘কালরাত’ স্মরণে একমিনিট নেভানো ছিল সব বাতি
আজ আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটেছিল বাঙালির সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের