চট্টগ্রাম ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই দিনব্যাপী ৭ম জাতীয় ট্রপিক্যাল মেডিসিন ও টক্সিকোলোজি কনফারেন্স। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগ, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ (বিআইটিআইডি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন (বিএএটিএম) এবং টক্সিকোলোজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ (টিএসবি) এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সংক্রামক ব্যাধি ও বিষক্রিয়াজনিত রোগসমূহ সম্বন্ধে অনুষ্ঠিত এই বৈজ্ঞানিক সম্মেলনটি প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. অশোক কুমার দত্ত এবং বিআইটিআইডি এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ হাসান চৌধুরীর নেতৃত্বে চিকিৎসকদের সক্রিয় অংশগ্রহণে সম্পাদিত এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ ইসমাইল খান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুল হক খান, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, অধ্যাপক ডা. সেলিম মোঃ জাহাঙ্গীর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জয়েন্ট চিফ (প্ল্যানিং উইং) ডা. মোঃ মহিউ্দ্দিন ওসমানি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মহসিন উদ্দিন আহমেদ, বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ ফয়সল ইকবাল চৌধুরী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ৭ম জাতীয় ট্রপিক্যাল মেডিসিন ও টক্সিকোলোজি কনফারেন্স (ব্যনট্রপটক্স) ব্যবস্থাপনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. সুযত পাল।
সংক্রামক ব্যাধি, বিষক্রিয়া ও উদ্বাস্তু স্বাস্থ্য সমস্যা বিষয়ে প্রায় ষাটটি বৈজ্ঞানিক উপস্থাপনায় ৪০০ দেশ-বিদেশের গবেষক, মেডিক্যাল শিক্ষক, প্রশিক্ষনার্থী চিকিৎসক ও প্রতিথযশা চিকিৎসা বিজ্ঞানী অংশগ্রহণ করেন ও আলোচনায় অংশ নেন।
২ দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা, কালাজ্বর, জলাতঙ্ক, সর্পদংশন, উদ্বাস্তু স্বাস্থ্য সমস্যা, সংক্রামক ব্যাধি ও বিষক্রিয়া জনিত জাতীয় স্বাস্থ্য সমস্যার উপর বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ উপস্থাপন করা হয়৷ বাংলাদেশে বিদ্যমান বিভিন্ন ধরনের প্রচলিত ও নতুন আবির্ভূত সংক্রামক ব্যাধি ও বিষক্রিয়া এবং সর্পদংশনের ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকারের উদ্যোগে অব্যাহত সহযোগিতা প্রদানে বিএএটিএম ও টিএসবি কাজ করবে বলে ‘ট্রপটক্স চট্টগ্রাম ঘোষণা’র মাধ্যমে শেষ হয় আয়োজন। এ ঘোষণার সুপারিশমালা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের প্রাসঙ্গিক বিভাগসমূহের বিবেচনার জন্য পেশ করা হবে।