শনিবার স্মৃতিচারণ করার সময়ে তিনি বলেন, বেশ কয়েকমাস আগে আমার সঙ্গে আইয়ুব বাচ্চুর কথা হয়েছিল। আমি তাকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। ২০১৯ সালের জানুয়ারীতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন বরণ অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিলাম। যাতে সংগীত পরিবেশনের ব্যাপারে মত দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার গান শুনা আর হয়ে উঠলো না।
তিনি আরও বলেন, আইয়ুব বাচ্চুর মামার কাছ থেকে আজ (শনিবার) যখন শুনলাম সে বিশ্ববিদ্যালয়কে ৬০টি গিটার দিতে চেয়েছিল। কথাটা শুনার পরপরই সিদ্ধান্ত নিলাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরে আইয়ুব বাচ্চু কর্ণার করবো। এই বিষয়টি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট পর্ষদ ও দফতরকে অতিশীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
এর আগে শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আইয়ুব বাচ্চুকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদেরকে বিষয়টি জানান।
অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই কিংবদন্তী শিল্পীর স্মৃতি রক্ষার্থে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরে আইয়ুব বাচ্চু কর্নার তৈরি করা হবে। যাতে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তার সৃষ্টি কর্ম তুলে ধরা যায়। এ বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর ট্রাস্টি বোর্ডে একটি প্রস্তাব ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে।
এ সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে ৬০টি গিটার প্রদানের ইচ্ছের কথা সাংবাদিকদের জানান আইয়ুব বাচ্চুর মামা আবদুল হালিম লোহানী।