রবিবার তারা মহাস্থানগড়ের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন। সোমপুর মহাবিহার, পাহাড়পুর প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট, পাহাড়পুর জাদুঘর, পাহাড়পুরে অবস্থিত স্থাপত্য নিদর্শনের ধ্বংসাবশেষ সত্যপীরের ভিটা, প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান জগদ্দল মহাবিহার, খেরুয়া মসজিদ পরিদর্শন করবেন।
এছাড়া বগুড়া সদর থানায় গোকুল গ্রামে খননকৃত প্রত্নস্থল গোকুল মেধ, শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার হাটে অবস্থিত ভাসু বিহার, দুই তালা বিশিষ্ট কাঁদা মাটির ঘর পরিদর্শন করবেন।
এসএসইএএসআর আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সভাপতি ও ইউল্যাবের সেন্টার ফর আর্কিওলজিক্যাল স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুসনে জাহান এই সফরের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
এর আগে গত ১২ জুন অতিথিরা ঢাকেশ্বরী মন্দির, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, স্বাধীনতা জাদুঘর, লালবাগের কেল্লাসহ নানা স্থানে ভ্রমণ করেন।
১৩ জুন থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত চলমান ‘নদী ও ধর্ম’ শীর্ষক এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশ্বের ৩০ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষকগণ ১৫টি শিরোনামের অধীনে ৩৭টি প্যারালাল সেশনের মাধ্যমে মোট ১৭০টি গবেষণা প্রবন্ধ পাঠ করেন। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন এই সম্মেলনের মাধ্যমে শতাধিক দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞের উপস্থিতিতে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ধর্ম ও সংস্কৃতি বিষয়ক গবেষণায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি টেকসই ও কার্যকর যোগাযোগ তৈরি হয়েছে যা বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক অ্যাকাডেমিক পরিমণ্ডলে নিজেদের তুলে ধরার জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। এই সম্মেলনকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য লোকশিল্প মেলা, বই মেলা এবং ইউল্যাবের ছাত্রদের “বাংলাদেশের নদী” শিরোনামে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও ‘গ্রুপ টেম্পল অব পুঠিয়া’ শিরোনামে ট্রাডিশনাল ফটো গ্যালারির আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।