আগামীকাল শনিবার (২৪ আগস্ট) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে সকাল সাড়ে ৮টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে। সমাজের অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ‘কমিউনিটি সার্ভিস’-এর অংশ হিসেবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয়বারের মতো এই ফ্রি হেলথ ক্যাম্পের আয়োজন করেছে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকার ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী ও সিনিয়র কনাসালটেন্ট ডা. আব্দুর রশীদ, ইনসেপ্টা ফার্মাসিটিউক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদির ও যশোরের সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার রায়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন যবিপ্রবির প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার মন্ডল।
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হবে চিকিৎসা সেবা চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। হেলথ ক্যাম্পে ঢাকা, খুলনা ও যশোর থেকে আসা কার্ডিওলজি, সার্জারি, শিশু কার্ডিয়াক সার্জন, রক্তনালী সার্জন, মেডিসিন, ডায়াবেটিক, গাইনি, চর্ম, নিউট্রিশনিস্ট, অর্থোপেডিকস, চক্ষুরোগ, নাক, কান ও গলা, ডেন্টাল, শিশু, মনোরোগ, বক্ষব্যাধি, পেইন অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি, ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন এবং জেনারেল প্র্যাকটিশনার বিষয়ে ৬০ জনের অধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন। এছাড়া সমাজের অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত দুরারোগ্য ও জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের তালিকাভুক্ত করে বছরজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ তহবিল থেকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।
হেলথ ক্যাম্পে পরীক্ষাসমূহ ফ্রি করা হবে এবং প্রাপ্যতা সাপেক্ষে যবিপ্রবির ফার্মেসি বিভাগ মডেল ফার্মেসির আদলে তিনটি স্থান থেকে বিনামূল্যে ঔষধ সরবরাহ করবে। এছাড়া রোগীদের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রদানকৃত একটি মোবাইলভ্যান, দুই দিনব্যাপী সেবা ও বিনামূল্যে হুইল চেয়ার, ভিজুয়াল এইড এবং হেয়ারিং এইডসহ প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ করা হবে। বিআরবি হাসপাতালের উদ্যোগে চিকিৎসা বিষয়ক একটি বিশেষ কর্নারও থাকবে।
ফ্রি মেডিক্যাল হেলথ ক্যাম্পে যারা চিকিৎসা নিতে আসবেন, তাদের প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছে নবনির্মিত টিএসসি ভবনে স্থাপিত ডেস্ক থেকে টোকেন সংগ্রহ করতে হবে। সেখানে জেনারেল প্র্যাকটিশনারগণ রোগীর অবস্থা বুঝে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে রেফার করবেন। এছাড়া পূর্বেই রেজিস্ট্রেশনকৃত রোগীগণ স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় সরাসরি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসদের কাছে চলে যাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবকগণ রোগীদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চেম্বার এবং প্রয়োজনীয় ঔষুধ সংগ্রহের ফার্মেসি চিনিয়ে দিতে সহায়তা করবেন।