এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সংগঠন নীল দল। একইসঙ্গে নিজেদের চাওয়া-পাওয়া, দুঃখ-কষ্ট সবকিছুকে ভুলে বিশ্ববিদ্যালয়কে তথা বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। গণভোজ পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় নীল দলের নেতারা এসব কথা বলেন।
যবিপ্রবি নীল দলের আহ্বায়ক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ সভাপতির বক্তব্যে আলোচনা সভায় বলেন, আজকে আমাদের যে পরিচয় সেটি বঙ্গবন্ধুর জন্য। আজকের আমাদের যে মানচিত্র সেটি বঙ্গবন্ধুর জন্যে। আমাদের সকল কর্মকাণ্ডে যেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থাকে।
আলোচনা সভায় নীল দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. মো. নাজমুল হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আমরা অন্তর থেকে ভালবাসবো। তাঁর যে স্বপ্ন ছিল, সেই স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নের জন্য আমাদের চাওয়া-পাওয়া, দুঃখ-কষ্ট সবকিছুকে ভুলে বিশ্ববিদ্যালয়কে তথা বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে । দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে পারি সে অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে হবে।
বীরপ্রতীক তারমন বিবি হলের প্রভোস্ট ড. শিরিন নিগার বলেন, ছোটবেলায় মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর সঠিক ইতিহাস পাঠ্যসূচিতে না থাকায়, আমরা তা জানতে পারিনি। এখন তা লেখা হচ্ছে। এর ফলে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়ার আরও বেশি সুযোগ পাবে।
গণভোজ পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন শহীদ মসিয়ূর হলের প্রভোস্ট ড. প্রকৌশলী মো: আমজাদ হোসেন, শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের প্রভোস্ট ড. সেলিনা আক্তার, ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. মো. ফিরোজ কবির, নিরাপত্তা কর্মকর্তা মুহা. মুন্সী মনিরুজ্জামান, কর্মচারী সমিতির সহসভাপতি আরশাদ আলী, যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফিকুর রহমান অয়ন, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ আল মাহমুদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শহীদ মসিয়ূর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা। অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিল যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ, কর্মকর্তা সমিতি এবং কর্মচারী সমিতি। সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা শেষে স্থানীয় গরিব, দুস্থ ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।