খুবিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের কর্মসূচি ঘোষণা

Khulna University Photo-জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচির উল্লেখযোগ্য দিকে আলোকপাত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন।




জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন, বছরব্যাপী ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন (বিজয় দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, জাতীয় শিশু দিবস, স্বাধীনতা দিবস, জাতীয় শোক দিবস ও জেল হত্যা দিবস, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, মুজিবনগর দিবস ইত্যাদি)। এ উপলক্ষে ক্যাম্পাসের মেইনগেটের কাছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একটি ম্যুরাল স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক নির্মাণ, দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে আইসিটি’র সংক্ষিপ্ত কোর্সের প্রশিক্ষণ প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ডিসিপ্লিন বছরের যেকোনো একদিন একটি কর্মসূচি পালন করা হবে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আর্কাইভ (অভিলেখাগার) স্থাপন এবং কেন্দ্রিয় লাইব্রেরিতে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার’ স্থাপন।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রথম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এবং এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন, দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে আইসিটি’র সংক্ষিপ্ত কোর্সের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আর্কাইভ (অভিলেখাগার) স্থাপনও প্রথম ঘোষণা করা হলো। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ উদ্যোগের সাথে এ অঞ্চলের মানুষকে যুক্ত করা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন, সভ্যতার স্মারক সংরক্ষণ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। এছাড়া এসডিজি অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনারও তাগিদ দেওয়া হয়।
উপাচার্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা, ৬ষ্ঠ সমাবর্তনসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের বিষয়ে অবহিত করে বলেন বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা একটি কোয়ালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে চাই এবং এর সুফল যেনো এ অঞ্চলের মানুষ পেতে পারে সেটা অভীষ্ট লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে। তিনি এ সব বিষয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, সিন্ডিকেটের অভ্যন্তরীণ সদস্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, প্রফেসর ড. মোঃ আনিসুর রহমান, প্রফেসর ড. আয়েশা আশরাফ ও প্রফেসর ড. আবু শামীম মোহাম্মদ আরিফ এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস উপস্থিত ছিলেন।