শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা স্মারক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অ্যাওয়ার্ডটি গ্রহণ করেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহীদুর রহমান।
উপাচার্য বলেন, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে অনন্য অবদান রাখায় আমরা শ্রেষ্ঠ ডিজিটাল ক্যাম্পাস অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ পেয়েছি। এটি আমাদের একটি বিশাল অর্জন। আমাদের ক্যাম্পাসকে ডিজিটাল করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। যার ফলে আজ আমাদের এই অর্জন। এ অর্জন আমাদের সবার।’
‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য বায়োমেট্রিক ডিজিটাল এটেনডেন্স সিস্টেমও চালু করা হয়েছে। যা সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে কাজ করছে। এজন্য মূলত এ অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছি আমরা।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) কে পেছনে ফেলে ডিজিটাল এ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে শাবি। যা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিরাট অর্জন বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
উল্লেখ্য, দেশের ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে তথ্যপ্রযুক্তিতে অনন্য অবদান রাখায় স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা দিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। এরমধ্যে শ্রেষ্ঠ ডিজিটাল ক্যাম্পাস হিসেবে এই সম্মাননা লাভ করেছে শাবি। এছাড়া ২০১৭ সালে শাবি পায় ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড অ্যাওয়ার্ড’।